বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে একদিকে যেমন ছিল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঢল, নির্বাচনের পর তেমনি এখন দলবদলকারীদের ফের একবার তৃণমূলের ফেরার জন্য কাতর আবেদন শোনা যাচ্ছে । ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। আর তারপর থেকেই বাংলা এখন বড় খবর ‘কার কার ফোন বাজলো’। অর্থাৎ কার সঙ্গে যোগাযোগ করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু আজ ফের দেখা গেল উলটপুরান। এবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন হাবরা শহরের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট প্রবীর দাস।
কিছুদিন আগেই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন কয়েকশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এবার সেই যোগদান ধারা অব্যাহত রইল কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও। সপারিষদ হাবরা শহরের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট প্রবীর দাস যোগদান করলেন বিজেপিতে। এদিন হেস্টিংসের বিজেপি অফিসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সমর্থকরাও।
বিশেষত নির্বাচনে আশাভঙ্গের পরে এখন রীতিমতো ভাঙন ধরেছে বিজেপিতে। সে ক্ষেত্রে এই যোগদান তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত দলীয় কর্মীদের মনোবল যে এতে অনেকটাই বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। একুশের নির্বাচনে কার্যত নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। সিপিআইএম-কংগ্রেস এবং আই এস এফের মহাজোটকে মাত্র একটি আসনে জয়ী’ করেছে মানুষ। যে কারণে এই মুহূর্তে বিধানসভায় কংগ্রেস বা সিপিআইএমের কোন প্রতিনিধি নেই।
নির্বাচনের আগেও এই দুই দল থেকে নিচু তলার অনেক কর্মী যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। যার জেরে তৃণমূল নেতাদের অনেকেরই কটাক্ষ ছিল আগে যারা বাম ছিল তারাই এখন রাম হয়েছে। এবার ফের একবার ঘর ভাঙলো কংগ্রেসের।