বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিহারের (Bihar) রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের দাবি, নীতীশের (Nitish Kumar) দলবদল এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। শীঘ্রই নাকি মহাজোটের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যুক্ত হতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে (Mallikarjun Kharge) নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনই নাকি ধরেননি তিনি।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে জেডিইউ বিধায়কদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ জমা দেবেন নীতীশ কুমার। এবং সোমবার বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এইদিন নীতীশের পাশাপাশি বিজেপির দুই উপ মুখ্যমন্ত্রীও শপথ নেবেন। সূত্রের খবর, বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। বিহার রাজনীতিতে যিনি, ‘নীতীশ ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই বিশেষ পরিচিত। এসবের মাঝেই শোনা যাচ্ছে, বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার বাঁচানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন : খতম দোস্তি! ফোন বন্ধ বিহার কংগ্রেস বিধায়কের! নীতিশের সঙ্গেই পালাবদল? বিপাকে রাহুল-সোনিয়া
শনিবার তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা’ (হাম)-র নেতা জিতনরাম মাঝিঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন বলে খবর। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে নীতীশের দলবদল আটকায় এই ক্ষমতা কারোরই নেই। যে কারণে নির্বাচনের আগে বেশ ভালো রকম অস্বস্তি শুরু হয়েছে নীতীশকে নিয়ে। এই আবহে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন : ভক্তদের ভিড়ে বিশ্বসেরা হওয়ার দৌড়ে অযোধ্যা! পরিস্থিতি সামালাতে আনা হল ৩৫০০ কোটি টাকার প্রোজেক্ট
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, ‘নীতীশ যদি NDA-তে সামিল হন, তাহলে কোনও বড় সমস্যা হবে না। এতে বরং তেজস্বী যাদবের ভোটের কাজ করতে সুবিধা হবে।’ সেই সাথে বাংলার সরকারের মতে, নীতীশের চলে যাওয়ায় লাভবান হবেন তেজস্বী। সেক্ষেত্রে গোটা বিহার জুড়ে নিজের মত করে ঘুঁটি সাজাতে পারবেন তিনি। কারণ তৃণমূলের মতে, নীতীশের আগের জনপ্রিয়তা আর নেই। তাই বিজেপিতে গেলেও খুব একটা কদর মিলবে বলে মনে হয়না।