বাংলা হান্ট ডেস্ক : NDA নাকি INDIA? দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে জিতবে কে? এই তরজায় মুখর গোটা দেশ। এমন আবহে বঙ্গ কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তীব্র কটাক্ষ শানালেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার কথায়, দু’দিন ছাড়া ছাড়া একটা করে ছুড়ি উড়ে আসছে আমি জনতার দিকে। সেই ছুরির নাম কখনও মূলবৃদ্ধি, কখনও আবার কোনও না কোনও বন্ধ হওয়ার খবর। গদ ১০ বছরে অন্ততপক্ষে ৪০টি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে বলে দাবি তার।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘DHFL ব্যাঙ্করাফট হয়ে গেছে। নোটবন্দির পর নরেন্দ্র মোদী হাসিহাসি মুখে যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পেটিএম করো, সেই পেটিএম-ও বন্ধ হয়ে গেছে। একই সাথে কোম্পানিতে যারা চাকরি করছিলেন তাদেরও কাজ চলে গেছে। তাই সার্কাস বললে সার্কাসের উল্টো দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।’ তবে এখানেই থেমে থাকলেন না তিনি। ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ কথাটির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভগবান না করুন আজ বাদে কাল যদি কারও কিছু হয়ে যায় তখন গ্যারান্টির কী হবে?’
এরপরেই তিনি অরিত্র দত্ত বণিকের আঞ্চলিক দলের গ্রহণযোগ্যতার কথা টেনে বলেন, ‘এই ভারতবর্ষে মণিপুর এবং মাল্যমপুরের আবেগটা এক হতে পারেনা ঠিক যেরকম দিল্লি আর মন্ডির হাটের চাহিদাটা এক হতে পারেনা। সবার জন্য এক সাইজ হয়না। যে কারণে এক দেশ, এক আইন করতে গিয়ে সবসময় হোঁচট খেয়েছে। যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে এরা এত মাতামাতি করে সেই ৩৭০ ধারার আরেক ভাই ৩৭১ ধারা আজও লাগু রয়েছে উত্তরাঞ্চলে।’
আরও পড়ুন : ‘I.N.D.I.A আসার আগে NDA তো ঘুমিয়ে ছিল’, বেনজির কটাক্ষ তৃণমূল মুখপাত্রের
এরপরেই তিনি সোজা টার্গেট করেন বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের। তিনি বলেন, ‘বিজেপির বেশিরভাগ নেতা হচ্ছেন গজনির আমির খান। স্মৃতিশক্তির একটু সমস্যা আছে।’ তার মুখে উঠে আসে সোনম ওয়াংচুকের কথাও। উঠে আসে অজিত পাওয়ারের কথা। বিজেপির অভ্র সেনের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যে নরেন্দ্র মোদী অজিত পাওয়ারকে চোর বলেছিলেন আজ সেই অজিত পাওয়ারকেই অর্থমন্ত্রী করেছেন। এটা কী ন্যাকামো হচ্ছে?’