বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর পথে হেঁটেই অবশেষে সাফল্য পেলেন ‘ভাইপো’ মিঠুন কান্দু। এদিন রাজ্যজুড়ে মোট ছয়টি উপনির্বাচন কেন্দ্রে ফল প্রকাশ হয়, যেখানে ঝালদা থেকে জয়লাভ করলেন কংগ্রেস প্রার্থীর মিঠুন কান্দু। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে উঠে তাঁর দাবি, “এই জয় আমার কাকুর জয়। আমার কাকিমা যে চোখের জল ফেলেছে, তার জয়।” অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে চারটি কেন্দ্র গিয়েছে। এরমাঝেই চন্দননগরে অপ্রত্যাশিতভাবে জয়লাভ করেন সিপিএম প্রার্থী।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস পূর্বে পুরুলিয়ার ঝালদায় 2 নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুন হন। ফলে সেখানে কাউন্সিলর ভোট করার কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে মৃত কংগ্রেস প্রার্থীর স্থানে তাঁর ভাইপো মিঠুনকে দাঁড় করায় দল। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাঁড় করানো হয় জগন্নাথ রজককে। একদিকে যখন কাকার পথ অবলম্বন করে এলাকার উন্নয়ন ঘটানোর কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেস প্রার্থী, তো অন্যদিকে আবার জয়ের সম্পর্কে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন জগন্নাথবাবু।
তবে এদিন ফল প্রকাশের পরেই তৃণমূল নেতার আশায় এখনকার জল ঢেলে দেয় এলাকার মানুষ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঝালদা পুরসভায় মোট 1179 টি ভোটের মধ্যে মিঠুন কান্দুর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা 930। অপরদিকে, তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন যথাক্রমে 152 এবং 32 টি ভোট। যদিও ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “আমাকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। আমার জয় নিশ্চিত থাকলেও তা হলো না।”
অপরদিকে, এদিন চন্দননগরের 17 নম্বর ওয়ার্ড থেকে অপ্রত্যাশিতভাবেই জয়লাভ করেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় 32 বছর পর জয়লাভের পর স্বভাবতই খুশি দেখায় তাঁকে। বাংলায় অপর চারটি উপনির্বাচন কেন্দ্র অবশ্য নিজেদের দখলে রাখলো তৃণমূল কংগ্রেস।