বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সুতোয় মতো ঝুলছে ইসলামাবাদের (Islamabad) প্রথম হিন্দু মন্দিরের (Temple) ভবিষ্যৎ। কখনও হাই কোর্ট নোটিশ ধরিয়েছে, তো কখনও আবার ধর্মীয় সংগঠন ফতোয়া জারি করেছে। এবার তো সরাসরি মন্দিরের সীমানা পাঁচিলে ভাঙচুর চালাল একদল দুষ্কৃতী। আর সেই ভাঙচুরের ভিডিও ফুটেজ হাতিয়ার করে মন্দির (Temple) নির্মাণ বন্ধ করার ছক কষতে শুরু করল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। কয়েকদিন আগে ইমরান খানের মন্ত্রিসভা মন্দির তৈরির অনুমতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু এবার মন্দিরের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে কাউন্সিল ফর ইসলামিক আইডোলজি কমিটি। এদিকে এই কমিটি প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়ে দিয়েছে, ইসলামাবাদে ওই মন্দির তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রস্তাবিত প্রথম হিন্দু মন্দির তৈরি নিয়ে বিতর্ক চলছেই ৷
প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই মন্দির ৷ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির তৈরি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ৷ বলা বাহুল্য, এই বিশাল মন্দির দেশের রাজধানীতে তৈরি হওয়া নিয়ে খুব একটা সায় নেই পাকিস্তানের ইসলামি সংগঠনগুলির ৷ ইসলামাবাদের এইচ-৯ সেক্টরে তৈরি হচ্ছে এই মন্দির ৷
২০১৭ সালে ক্যাপিটেল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদের ওই এলাকায় ২০ হাজার স্কয়ার ফুট জমি মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়েছিলেন। তিন বছর ধরে সেখানে মন্দির তৈরির জন্য একটি ইটও গাঁথতে দেওয়া হয়নি। সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে গত পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সম্পাদক লাল চাঁদ মাহি মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজের সূচনা করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার এবার মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদানেরও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।
শনিবার মন্দিরের সামনে পাচিঁল তৈরির কাজ আটকে দেয় ক্যাপিটাল ডেভলপমেন্ট অথোরিটি (CDA)। সংস্থার মুখপাত্র মাজহার হুসেন জানান, ইসলামাবাদে বাণিজ্যিক কারণ বা আবাসনের জন্য যে বিল্ডিংই তৈরি হোক না কেন, তার জন্য অনুমতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু মন্দির তৈরির অনুমতি ছিল না। অথচ মন্দির কমিটির দাবি, তাঁরা মন্দিরের প্ল্যান ওই দপ্তরের জমা করেছিলেন। শনিবার কাজ আটকে দেওয়া হয়।
এদিকে মন্দির তৈরির জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এবার সেই অনুমতি নিয়েও টালবাহানা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর জানিয়েছে, এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কাউন্সিল ফর ইসলামিক আইডোলজি কমিটি।