বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের আদালত অবমাননার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। এবার ওবিসি শংসাপত্র (OBC Certificate) নিয়ে কাঠগড়ায় রাজ্য। আগেই ২০১০ সালের পর থেকে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে রাজ্য (Government of West Bengal)। যদিও এখনও হাইকোর্টের নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে অভিযোগ, সেই বাতিল হওয়া OBC সার্টিফিকেট ব্যবহার করে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে।
নয়া মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)
মঙ্গলবার এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুবীর সান্যাল। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে চিফ জাস্টিসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়।
আদালত স্পষ্ট করে জানায়, ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে যারা ইতিমধ্যেই চাকরি বা সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে গিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই রায়ের কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে নতুন করে আর কেউ এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের এই রায় প্রথম থেকেই মেনে নেয়নি রাজ্য।
আরও পড়ুন: আগামী দু’ঘন্টায় তুমুল বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়! হবে বজ্রপাতও: আবহাওয়ার খবর
উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এর আগে গত ৫ অগাস্ট এই মামলার শুনানিতেই রাজ্যকে নোটিস জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায়ের বিষয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা তলব করে শীর্ষ আদালত। কীসের ভিত্তিতে ৭৭টি সম্প্রদায়কে রাজ্য ওবিসি করেছিল তা সাত দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছিল আদালত। ওবিসি তালিকাভুক্ত ওই ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল?
এই বিষয়ে বিস্তারে জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে এই নিয়ে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, তাও লিখিত আকারে হলফনামায় জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি হাই কোর্টের রায়ের উপর এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।