বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাম্প্রদায়িকতা রীতিমতো অসুখে দাঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। সে দেশে একযোগে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে গতকাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনই ঢাকা (Dhaka) ও কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ সামনে আসে। এই ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে এই কথা জানান তিনি।
‘নেপাল আর গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে দু’ জনের বিবাদ গড়ায় আদালতে। গোপালকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবদুলের কাছে জমি বিক্রি করে দেয় নেপাল। ইদের সময় নেপালের জমিতে গরু জবাই করে আবদুল। তা দেখে কাউকে কিছু না জানিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে সপরিবারে চলে যায় ব্যথিত নেপাল।’ বাংলাদেশের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এই গল্পের উল্লেখ করে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে কোন কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে দেখতে হবে- সেই বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কোনো বিষয় যেন যুক্ত না থাকে- সে বিষয়েও বলা হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো একটি বিশেষ প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্ন হয়তো মডারেটরের চোখও এড়িয়ে গেছে কিংবা তিনিও এটি স্বাভাবিকভাবেই ভেবে নিয়েছেন।’
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি কোন সেটার বা মডারেটর এই প্রশ্নটি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার দেশ। কোনো পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি থাকলে তা কোনোভাবে মেনে নয়। তাই আমরা চিহ্নিত করছি কারা এর সঙ্গে জড়িত।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না শিক্ষা বোর্ড এ ধরনের ভুল করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রশ্ন যখন ছাপা হয়েছে সেখানে একটা ত্রুটি থেকে যেতে পারে।’