রানু মণ্ডলকে নিয়ে চিন্তিত দেবাংশু! হঠাৎ হল টা কী?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (Trinamool Congress) যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জও তিনি। যুব তরুণ সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বিশেষ। বিরোধীদের সপাটে জবাব দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনের আগে দলের জন্য একাধিক গান, ‘খেলা হবে’র মতো স্লোগান! সবেতেই চর্চার শিরোনামে তিনি।

তবে আর একটি জিনিসের জন্যও বেশ জনপ্রিয় এই যুব নেতা, সমাজমাধ্যমে তার করা একাধিক পোস্টের জন্য। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল সেসব পোস্ট, উঠে আসে লাইক, কমেন্টের বন্যা। আজও নিজের ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্ট থেকে একজোটে বিরোধীদের তোপ দেগে একটি পোস্ট করেন নেতা। আর সেখানেই উঠে এল রানু মণ্ডল (Ranu Mondal) প্রসঙ্গও। যা নিয়ে জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে সর্বত্র।

ঠিক কি লিখেছিলেন নেতা? এদিন দুপুরে ফেসবুক থেকে একটি পোস্ট করে দেবাংশু লেখেন, “এত বিচলিত হচ্ছেন কেন? ভেবে দেখুন, রাজ্যের বিরোধী দলগুলো কতটা নপুংসক, কতটা অকর্মণ্য এবং কতটা অসহায় হলে বার বার খড়কুটো আঁকড়ে জ্বালা মেটানোর চেষ্টা করে!”

নেতার সংযোজন, “সেই খড়কুটো রূপে আঁকড়ে ধরার পর্ব শুরু হয়েছিল কামদুনির টুম্পা-মৌসুমি থেকে। সেখান থেকে আজ অবধি কখনো নবীন পট্টনায়ক, কখনো অরন্যদেব গাঙ্গুলি, কখনো রোদ্দুর রায়, কখনো স্ট্যান্ড করা সিপিএম নেতার কন্যা! পরজীবী সিপিএম, বিজেপি এতটাই অকর্মণ্য, এরা ঠেকনা ছাড়া দাঁড়াতে পারেনা। এমন মেরুদন্ডহীন বিরোধী থাকলে আপনারা রিল্যাক্সড থাকবেন না কেন?” আর দেবাংশুর করা সেই পোস্টেই কমেন্ট করে এক নেটিজেন লেখেন, “সিপিআইএমতো শূন্য তাও এত চিন্তা তাদের নিয়ে?” এর উত্তরে পাল্টা দেবাংশু লেখেন, “আমার তো রানুদিকে নিয়েও চিন্তা হয়।”

debangshu

এখানে রানুদি বলতে তিনি গায়িকা রানু মণ্ডলের কথা বোঝাতে চেয়েছেন বলেই মত অনেকের। প্রসঙ্গত, রানাঘাট রেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল তার গান (Ranu Mondal)। এরপর মুম্বইয়ে হিমেশ রেশমিয়ার পরিচালনায় একটি গানের প্লেব্যাকও করেন তিনি। রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গেলেও বর্তমানে ঘুরে ফিরে আগের জীবনেই ফিরে গিয়েছেন গায়িকা। খুব শোচনীয় অবস্থাতেই দিন কাটছে তার। অনেকের মতে এখানে কটাক্ষের সুরেই রানুদির কথা তুলেছেন নেতা। আর সেই নিয়েই চলছে চৰ্চা।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর