বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (nusrat jahan) দেওয়া তথ্য নিয়ে বিতর্ক। নিজে তিনি বলেছেন নিখিল জৈনের (nikhil jain) সঙ্গে তাঁর বিয়েই হয়নি। তাঁরা সহবাস করেছেন মাত্র। অন্যদিকে লোকসভার ওয়েবসাইটে তাঁর পরিচয় তিনি বিবাহিত। এমনকি সংসদে শপথ গ্রহণের সময়েও তিনি নিজেকে ‘নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে পরিচয় দিয়েছেন।
এবার সাংসদ অভিনেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁর জমা দেওয়া হলফনামা এবং লোকসভার ওয়েবসাইটে দু জায়গায় তাঁর দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য কিন্তু মিলছে না। ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনে নিয়ম অনুযায়ী জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নুসরত জানিয়েছিলেন, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ। ভবানীপুর গুজরাটি এডুকেশনাল সোসাইটি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি ২০০৮ সালে। কিন্তু লোকসভার ওয়েবসাইটের তথ্যে নুসরত বি কম অনার্স পাশ করেছেন।
নুসরতের বিয়ে না হওয়ার দাবির সঙ্গে কিন্তু সরকারি নথিরও মিল নেই। পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের তালিকায় নুসরত জাহানের সম্পর্কে তথ্যে স্পষ্ট লেখা রয়েছে তিনি বিবাহিত। স্বামীর নাম নিখিল জৈন এবং বিয়ের তারিখ ২০১৯ এর ১৯ জুন। উল্লেখ্য, সংসদকে যে তথ্য দেওয়া হয় সেটাই দেখা যায় ওয়েবসাইটে।
এই অসঙ্গতিকে হাতিয়ার করেই এবার রাজনৈতিক আঙিনায় নুসরতকে চাপে ফেলার জন্য কোমর বাঁধছে বিজেপি। বিয়ের পর প্রথম বার নুসরতের লোকসভা সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার ভিডিওটি টুইট করেছেন অমিত মালব্য। সেখানে স্পষ্ট অভিনেত্রী সাংসদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’। উপরন্তু সেদিন সংসদে সম্পূর্ণ বিবাহিতা হিন্দু নারীর সাজে উপস্থিত হয়েছিলেন নুসরত। হাতে ছিল নিখিলের নামের চূড়া, সিঁথিতে সিঁদুর।
সেই তুমুল চর্চিত শপথ গ্রহণের ভিডিওটিই শেয়ার করে কটাক্ষ ছুঁড়েছেন অমিত মালব্য। তাঁর প্রশ্ন, ‘তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি জৈনের ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কার সঙ্গে বিয়ে করেছেন বা কার সঙ্গে লিভ ইন করছেন তা নিয়ে কারোর কিছু বলার নেই। কিন্তু উনি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সংসদে অন রেকর্ড তিনি বলেছেন নিখিল জৈনের সঙ্গে তিনি বিবাহিতা। তাহলে কি উনি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বললেন?’