বাংলা হান্ট ডেস্ক: এমনিতেই রান্নার তেলের দাম ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় কার্যত আগুন লেগেছিল মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে। এমতাবস্থায়, স্বস্তি বাড়িয়ে এবার কিছুটা নিম্নমুখী হল এই দাম। মূলত, বিদেশি বাজারে ক্রমাগত মন্দার জেরে অভ্যন্তরীণ বাজারেও তৈলবীজের দাম ব্যাপকহারে কমছে। এদিকে, বিদেশি বাজারে এই দরপতনের কারণে দেশীয় অভ্যন্তরীণ বাজারে সমস্ত তেল এবং তৈলবীজের দামে নিম্নগতি অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও, মালয়েশিয়া এক্সচেঞ্জে পতনের কারণে অপরিশোধিত পাম তেল (সিপিও) এবং পামোলিন তেলের দামে পতন ঘটেছে। পাশাপাশি, শিকাগো এক্সচেঞ্জে পতনের কারণে সয়াবিন তেল এবং তৈলবীজের দাম কমেছে। এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করে তেল আমদানির মাধ্যমে ভোজ্য তেলের সঙ্কটের ভয়াবহ পরিস্থিতিকে দ্রুত সামাল দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে তেলের দাম।
যদিও, এখনও বাজারের একাধিক দোকান পুরোনো নির্ধারিত দামেই তেল বিক্রি করছে। যার ফলে, বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে গিয়ে তেলের দাম লক্ষ্য করলে তাতে পার্থক্য পরিলক্ষিত হবে। এমতাবস্থায়, জেনে নিন সর্ষের তেল সহ বাদাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সঠিক দাম সম্পর্কে:
১. সর্ষের তেল: বর্তমান সময়ের দাম অনুযায়ী, ইমামি হেলদি অ্যান্ড টেস্টি সর্ষের তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকায়। পাশাপাশি, ফরচুন কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেলের ১ লিটারের পাউচ পাওয়া যাচ্ছে ১৭৩ টাকায়। মূলত, ব্র্যান্ডেড সর্ষের তেলের দাম ১৭০-১৮০ টাকার মধ্যেই রয়েছে।
২. বাদাম তেল: ধারা বা ফরচুনের মত ব্র্যান্ডেড বাদাম তেল এখন পাওয়া যাচ্ছে ১৮৮ থেকে ১৯৫ টাকা প্রতি লিটার দামে।
৩. সয়াবিন তেল: নতুন দামের পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দামও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। আপাতত, ফরচুন রিফাইন্ড সয়াবিন তেলের দাম হল ১৭৬ টাকা। অপরদিকে, বাকি তেলের ব্র্যান্ডগুলির দামও রয়েছে ১৭৩ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে।
৪. সূর্যমুখী তেল: সূর্যমুখী তেলের দামও বিভিন্ন ব্র্যান্ড অনুযায়ী পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে, সামগ্রিক ভাবে এর দাম পৌঁছেছে ১৯৩ টাকা প্রতি লিটারে।