বাংলা হান্ট ডেস্ক: করে কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি।কারণ, প্রতিটা বাঙালি বাড়িতে সপ্তাহে কম করে দু থেকে তিন দিন মাছের কোন না কোন পদ রান্না করা হয়। আর তেমনি, মাছের ঝোল করার পাশাপাশি মাছ ভাজাও রান্না করা হয়। কারণ ডাল ভাতের সঙ্গে গরম গরম মাছ ভাজা হলে এক থালা ভাত নিমিষেই উঠে যায়। তবে ছাকা তেলে মাছ ভাজলে পড়ে সবসময় যে মাছ ভাজা মুচমুচে হয় তা কিন্তু নয়। মুচমুচে মাছ ভাজা খেতে হলে মেনে চলতে হয় বেশ কয়েকটি নিয়ম (Cooking Tips)। আজকে প্রতিবেদনে সেই নিয়ম গুলোই বলা হল। যেগুলো মেনে চললে বাড়িতেই আপনি মুচমুচে মাছ ভাজা রান্না করতে পারবেন।
রেস্টুরেন্টের মতো মাছ ভাজা চান? মানুন এই কৌশল গুলো (Cooking Tips)
মাছ ভাজের জন্য বন্ধন শিল্পীরা বলেন, আমরা এই মাছ ভাজা, নির্ভর করে রান্নার স্বাদ। কারণ কোন রান্নায় কিভাবে মাছ ভাজতে হবে তার ওপরই সম্পূর্ণ স্বাদ নির্ভর করছে। আমার মাছ ভাজিতে গেলে অনেক সময় মাছের ছাল কড়াইতে লেগেও যায়। তাই মসলার গুনে সাধারণত মাছ ভাজাই হয়ে ওঠে সুস্বাদু। এর জন্য ছাঁকা পেলে যে সব সময় মাছ ভাজতে হবে তার কোন মানে নেই। কিছু নিয়ম মানলে আপনার মাছ ভাজা মুচমুচে হবে (Cooking Tips)।

আরও পড়ুন: উইকএন্ডে নতুন পদ? বানিয়ে ফেলুন চিংড়ি মাঞ্চুরিয়ান, সবাই আঙুল চাটবে, রেসিপি রইল
প্রথমত রুই থেকে ভোলা এই ধরনের মাছ ভাজা গুলো খেতে বেশ ভালই লাগে। তবে ছাঁকা তেলে মাছ ভাজলে পরে মাছের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই পুষ্টিবিদরা বলেন, মাছ রান্না করার সময় দরকার কম তেলে সময় নিয়ে ভাজলে মাছের পুষ্টিগুণ বজায় রাখা সম্ভব।
কম তেলে মাছ ভাজা জিতলে সেই মাছ খেতেও ভালো লাগবে। এছাড়া জল ঝরানো টক দই, আদা রসুন বাটা, ধনে জিরে গুঁড়ো, নুর ও হলুদ দিয়ে মাছ ভালোভাবে মাখিয়ে রেখে অন্তত এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর মাছের ওপরে সুজি বা ব্যাসন অল্প করে ছড়িয়ে হাতে সাজে সেটা ভালোভাবে উল্টে পাল্টে মেখে নিতে পারেন। এর ফলে মাঝে মাঝে হয়ে উঠবে দারুন সুস্বাদু। এই ধরনের মাছ ভাজার জন্য ননস্টিক তাওয়া বেছে নিন।
অনেক সময় মাছ ওল্টাতে গেলে মাছের ঝাল করায় লেগে যায়। আমার মাঝে ভেঙে যায়। তাই ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা মাছ ভাজতে গেলে এমনটা অনেক সময় হয়। আর এর জন্য মাছের গায়ে লেগে থাকা জল টিস্যু পেপারের সাহায্যে মুছে নিন। এছাড়াও তেল গরম থাকলে মাছের গায়ে জল না থাকলে চট করে মাছ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না (Cooking Tips)।












