ধর্মীয় স্থান থেকে হয় হামলার ঘোষণা, অশ্বিনী কুমার হত্যা মামলায় খোলসা বিহার পুলিশের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাইক চুরি মামলায় ইসলামপুরে তল্লাশি করতে যাওয়া বিহার পুলিশের অফিসারকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। এবার এই মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে যে, বিহার পুলিশের অফিসার অশ্বিনী কুমারের টিমের উপর হামলা করার আগে ধর্মীয় স্থান থেকে ঘোষণা করে লোক জড় করা হয়ছিল। এই কথা বিহার পুলিশের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান। আর যেই চুরি যাওয়া বাইকের খোঁজে কিষাণগঞ্জের SHO-এর ইসলামপুরে গিয়েছিলেন, তা উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

কিষাণগঞ্জের SHO অশ্বিনী কুমারের নেতৃত্বে বিহার পুলিশের একটি টিম ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ি এলাকায় তল্লাশিতে যায়। উগ্র ভিড় শুক্রবার রাতে বিহার পুলিশের টিমের উপর হামলা করে এবং অশ্বিনী কুমারকে পিটিয়ে হত্যা করে। কিষাণগঞ্জের পুলিশ আধিকারিক আনোয়ার জাভেদ আনসারি সোমবার বলেন, ইসলামপুরে তল্লাশিতে যাওয়া পুলিশ টিম উর্দি পরেই ছিল। তা সত্বেও অভিযুক্তরা ধর্মীয় স্থান থেকে মিথ্যে ঘোষণা করে লোক জড় করে।

2 66

জাভেদ আনসারি বলেন, ধর্মীয় স্থান থেকে লোক জড় করার কথা গোয়ালপোখর থানায় দায়ের করা ডায়েরিতে উল্লেখ আছে। অশ্বিনী কুমার পুলিশ টিমের সঙ্গে বাইক চুরির ঘটনার সূচনা পাওয়ার পর পাঞ্জিপাড়ায় অভিযুক্ত ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্থানীয় মানুষ পুলিশ টিমের উপর হামলা করা দেয়। আর সেই হামলায় অশ্বিনী কুমার শহীদ হয়ে যান।

1 77

অশ্বিনী কুমার বিহারের পূর্ণিয়া জেলার জানকী নগর থানা এলাকার বাসিন্দা। একবছর আগেই ওনার পোস্টিং কিষাণগঞ্জ নগর থানায় হয়েছিল। পুলিশ ১১ এপ্রিল ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত ফিরোজ আলম সহ আবুজর আলম আর শাহিনুর খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আনসারি বলেন, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আটজন কে গ্রেফতার করা সমেত চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলও উদ্ধার করেছে এবং অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই মামলায় এখনও ২১ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর