বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা করোনা করে মানুষ নাজেহাল। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাটাও অনেক। কিন্তু সব জেনেও যেন বেহুঁশ পাকিস্তান (Pakistan)। কোনও সুষ্ঠু পরিকাঠামো নেই পাকিস্তান জুড়ে। করোনার মোকাবিলায় ধুঁকছে চিন সীমান্তের নিকটবর্তী প্রদেশ গিলগিট-বালটিস্তান।
করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০০। প্রায় কিছুই নেই যেন। খাবার নেই, ওষুধ নেই, মাত্র দুটি ভেন্টিলেটর। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে পুরোনো মডেলের ভেন্টিলেটর দিয়ে কাজ চালাচ্ছে গিলগিট বালটিস্তান। ইসলামাবাদ থেকে গোটা প্রদেশেই এসে পৌঁছয়নি কোনও ওষুধ। ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী ডঃ আমজাদ আয়ুব মির্জা একটি ট্যুইট করে পরিস্থিতির হাল তুলে ধরেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন করোনার জেরে বেকারত্ব বাড়ছে, কোনও অধিকারই এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সরকারের কোনও নজর নেই এই প্রদেশের প্রতি। এই একই অভিযোগ গিলগিট বালটিস্তান প্রদেশের চিকিৎসকদের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাকিস্তানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,২৬৪। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৬৮৮জন নতুনকরে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৮২ জন। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৭০ জন।
মির্জার দাবি, ইসলামাবাদ অনুদান দিলেও, তা আসছে না এই প্রদেশগুলিতে। দিনের পর দিন রোগির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অথচ পরিকাঠামো তলানিতে। প্রাদেশিক সরকারগুলির নিজেদের কাজে সেই টাকা ব্যবহার করছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা তাদের নজরে আসছে না।
তবে এসব সত্ত্বেও হুঁশ ফির ছে না ইসলামাবাদের। তারা সন্ত্রাস রফতানি করতেই বেশি ব্যস্ত। রাষ্ট্রসংঘের অ্যানালেটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যানশন মনিটরিং টিম একটি সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষা জানাচ্ছে শুধু ভারত নয়, আফগানিস্তানেও সন্ত্রাস ছড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। এই উদ্দেশ্যেই সাড়ে ছয় হাজার পাক জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে আফগান ভূমিতে।
সন্ত্রাসবাদে রক্তাক্ত এই আফগান ভূমির ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকা দেশটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই গত দুই দশকের বেশি। মূলত তালিবান জঙ্গি কব্জায় থাকা এলাকাটির দখল ও পুনর্দখল ঘিরে আফগান-মার্কিন যৌথ সেনা বারে বারে অভিযান চালিয়েছে। তবে কোনওবারেই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তালিবান জঙ্গিরা যেমন দখলদারি চালাচ্ছে, তেমনই এই ৬৫০০ জঙ্গিও পূর্ণ মাত্রায় সক্রিয় হয়ে রয়েছে আফগানিস্তান জুড়ে।