লখনউঃ বেঁচে থাকার সাহস আর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি মারক রোগকেও হারিয়ে দিতে পারে। মোরাদাবাদ জেলার হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি যুবতী এই কথা প্রমাণ করে দিলেন। করোনার মতো মহামারীর সংক্রমণে গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, আরেকদিকে মোরাদাবাদের ওই যুবতী নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়ে করোনাকে হারিয়ে দিল।
শনিবার ওই যুবতীর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হয় আর তৃতীয়বার স্যাম্পেলের পরীক্ষা হয় আজ। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে যুবতীকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হবে। মুন্দাপান্ডের ১৯ বছরের যুবতী ১৯ মার্চ জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরীক্ষায় যুবতীর স্যাম্পেল পজেটিভ এসেছিল।
ওই যুবতী ফ্রান্সে পড়াশুনা করত। সে ১৫ই মার্চ ফ্রান্স থেকে ভারতে ফিরে আসে। ১৭ই মার্চ নিজের বাড়িতে পৌঁছাতেই জ্বর আর কাশি হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মোরাদাবাদের এটাই প্রথম পজেটিভ কেস ছিল। যুবতীর চিকিৎসা করা ডাক্তার প্রবীণ শাহ বলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ওষুধের থেকে বেশি তাঁর জীবিত থাকার ইচ্ছাশক্তির জন্য হয়েছে। ভর্তি হওয়ার তৃতীয়দিনে কাশি আর জ্বর থেকে রেহাই পায় সে। এরপর সে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে।
ডাক্তার প্রবীণ বলেন, যুবতী ওয়ার্ডে একাই আছে। সে নিজের বেশীরভাগ সময় ইন্টারনেট আর বই পড়াতেই কাটিয়ে দেয়। সে সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখে। করোনা মহামারী নিয়ে গোটা বিশ্বের ঘটনার আপডেটও রাখে সে। চিকিৎসা কর্মী, স্টাফ আর ডাক্তাররা যখনই রাউন্ডে যাক না কে, তাঁর মুখে সবসময় হাসি ফুটে থাকে।
ডাক্তার জানান, যুবতীর পরিজন তাঁর সাথে দেখা করতে আসে, কিন্তু তাঁরা দরজা থেকে দেখেই চলে যায়। সংক্রমণের কারণে হাসপাতালের প্যানেল সদস্য ছাড়া কোন বাইরের ব্যাক্তিকে যুবতীর সামনে যেতে দেওয়া হয়না। পরিবারের সদস্য আর বন্ধুদের সাথে ফোন এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে সে।