করোনার জেরে আমেরিকা, ব্রিটেনে মৃত্যু হতে পারে ২৭ লক্ষ মানুষের:দাবি গবেষকদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের (corona virus) আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এমন এক পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ইম্পিরিয়াল (Imperial of Britain)  কলেজের ম্যাথমেটিক্যাল বায়োলজির অধ্যাপক নিল ফার্গুসনের (Neil Ferguson) এর গবেষণা ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের। সমীক্ষায় বলা হয়, ভাইরাসটি সবচেয়ে খারাপ মাত্রায় ছড়ালে ৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। এ ছাড়া মারাত্মক অসুস্থ রোগীতে উপচে পড়বে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা।

এই ভাইরাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারে ২২ লাখ মানুষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনও করোনার প্রভাব প্রবল। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। আক্রান্ত ১৯৫০ জন। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫১৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। কী বলা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে?  ফার্গুসেন ও তাঁর টিম ইতালিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি রেখেছেন ব্রিটেনে ১৯১৮ সালের মহামারি ফ্লুর তথ্য। ফার্গুসেন টিমের দাবি, কোভিড-১৯ এর কোনও প্রতিষেধক নেই।

 

1800x1200 coronavirus 1 2

যে ভাবে তা ছড়াচ্ছে এর প্রভাব হতে পারে ভয়ঙ্কর। এমন হতে পারে এর ফলে ব্রিটেনে মৃত্যু হতে পারে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের। পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হতে পারে ২২ লাখ মানুষের।কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বরিস সরকার যুক্তরাজ্যের জীবনযাপনে সব সামাজিকতা নিষিদ্ধ করেছে। ৭০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ক্যাফে, পাবে, সিনেমা হলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।গাণিতিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন ও তাঁর দল সম্প্রতি এই গবেষণা করে। ওই গবেষণা তৈরিতে ইতালি থেকে সংগৃহীত নতুন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।

Capture u

ইতালিতে এই ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।এদিকে, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ইয়োরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহু শহর শাট ডাউন করা হয়েছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, হোম আইসোলেশন করা হলেও করোনাভাইরাস রুখতে গোটা সমাজে বিধিনিষেধ আরোপ করা যায়নি। এর ফলেও আড়াই লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।

গবেষক দলের সদস্য আজরা ঘানি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব ভায়ঙ্করভাবে পড়বে আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিতে। ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞ টিম কোলবার্ন, জানিয়েছেন, ওই গবেষণার তথ্য খুবই উদ্বেগজনক। ধরে নিতে হবে খুবই খারাপ সময় আসছে আমাদের সামনে।১৯১৮ সালের এক ফ্লুর সঙ্গে এই পরিস্থিতির তুলনা করে ফার্গুসনের গবেষকেরা বলছেন, কোনো নিবারণ পদ্ধতি এখনো পাওয়া যায়নি।মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব চূড়ান্তভাবে বজায় রাখা এবং ক্লাব, থিয়েটার পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।

সম্পর্কিত খবর