করোনার জেরে বাংলার শিল্পে হচ্ছে ব্যাপক ক্ষতি, কমল দার্জিলিঙের সুগন্ধি চায়ের বিক্রি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (COVID-19) জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমগ্র বিশ্বে। এর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এরই মাঝে আবার ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে চা (Tea) শিল্প। দার্জিলিঙের (Darjeeling )চা বাগানগুলিতে ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা তোলার কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এই চা রপ্তানিতেই বাঁধা হয়ে দাঁড়াল করোনা।

download 2 25

এইসময় প্রতিবছর দার্জিলিঙের চা তোলার কাজ শেষ হয়। তারপর সেই চা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। প্রধানত মার্চের শুরুতেই নিলাম পদ্ধতির মাধ্যেম সেই চায়ের বেশিরভাগটাই ইউরোপের (Europe) বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বৈদেশিক ভিসা বাতিল করে দিয়েছেন। যার ফলে জাপান (Japan) ও ইউরোপের দেশগুলো থেকে ভারতে হওয়া চা নিলামে যোগ দিতে পারছেন না বৈদেশিক ক্রেতারা। চা রপ্তানি করতে না পারায় ভয়াবহ ক্ষতির মুখোমুখি এখন দার্জিলিং।

২০১৭ সালে একবার পাহাড়ে লাগাতার আন্দোলনের কারণে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল দার্জিলিঙের চা-শিল্পকে। সেই দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল প্রায় ২ বছর। কিন্তু এখন আবার করোনা ভাইরাসের জেরে যদি আবার সেই পরিস্থিতি ফিরে আসে, সেই নিয়েই আশঙ্কায় রয়েছেন দার্জিলিংবাসী। এই পরিস্থিতিতে টি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাঁদের এই সমস্যার কথা জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে। তবে ডিটিএ কর্তারা বলেছেন, তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। যাতে বেশি পরিমাণ ক্ষতি না হয়, সে  দিকটাও দেখা হচ্ছে।

images 76

গুণমানের দিক থেকে এগিয়ে থাকা ফার্স্ট ফ্লাশের চা দার্জিলিঙের মোট উৎপাদিত চায়ের প্রায় ২০ শতাংশ। বৈদেশিক বাজারে এই চায়ের দাম এবং চাহিদাও অত্যন্ত বেশি। তাই সেই চা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে  সরকারী তরফ থেকে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর