১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! ভোটের আগে কাঠগড়ায় তৃণমূল, ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে দুই ‘জ্বলন্ত ইস্যু’ হল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এবং ১০০ দিনের কাজ। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে একাধিকবার তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করেছে বিজেপি। অন্যদিকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এসবের মাঝেই এবার সন্দেশখালিতে ১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।

শুক্রবার দুপুরে সন্দেশখালি ১ ব্লকের শেয়ারা রাধানগর পঞ্চায়েতের নিত্যবেড়িয়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযোগের তীর প্রকল্পের এক সুপারভাইজারের দিকে। গতকাল তাঁর বাড়ির সামনেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। গ্রামবাসীদের দাবি, বিক্ষোভের কথা বুঝতে পেরে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত সুপারভাইজার। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক পাননি। তাঁদের তরফে বিপ্লব দাস বলেন, ‘রাজ্য সরকার যা বকেয়া টাকা দিয়েছে, সেখানে মাত্র ১৬ দিনের রোজ পেয়েছি। কিন্তু উক্ত সুপারভাইজারের আত্মীয়দের মধ্যে অনেকে কাজ না করেও টাকা পেয়েছেন’। কারোর দাবি, তাঁরা যতদিন কাজ করেছেন তার চেয়ে কম দিন সরকারি নথিতে তুলেছিলেন সেই সুপারভাইজার। বাকি দিনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন নিজে।

আরও পড়ুনঃ রামনবমীর মিছিল করতে বাধা নেই! তবে মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত! জানিয়ে দিল হাই কোর্ট

সন্দেশখালি ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে বিডিওর কাছে কয়েকজন অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন। ১০০ দিনের প্রকল্পে যতদিন কাজ করেছেন, তার চেয়ে কম টাকা পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। তবে সরকারি নথিতে দেখা যায়, যতদিন কাজ করেছেন প্রত্যেকদিনের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বিডিও অফিসের এক আধিকারিক জানান, যারা যতদিন কাজ করেছেন, ততদিনের টাকা পেয়েছেন। অনেকে আগে কিছু টাকা পেয়েছিলেন, আর কিছু টাকা বাকি ছিল। সেটা এখন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

100 days work sandeshkhali

অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূলকে। গেরুয়া শিবিরের মণ্ডল সভাপতি শান্তি দলুই বলেন, ‘গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের মদতে ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজাররা কারচুপি করছেন। শ্রমিকদের ঠকিয়ে তাঁদের হকের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে’। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো অবশ্য সকল অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘যেখানে যা হয় বিজেপি তৃণমূলকে দেখতে পায়। আসলে ভোটে হারবে বলে পাগলের প্রলাপ বকছে। মানুষকে রাগিয়ে তুলে বিক্ষোভ করাচ্ছে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর