বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘দাম কমতে চলেছে বিদ্যুতের’, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) । কিন্তু দাম কমবেই বা কীভাবে? এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই পথও বাতলে দিলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট কথা, দেউচা পাঁচামি থেকে যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন (Coal Mine) হবে, তাতেই মিটে যাবে কয়লার যাবতীয় অভাব। রাজ্যকে কয়লার জন্য আর অন্য কোনও রাজ্যের উপর নির্ভর করতে হবে না। আর তার জেরেই দাম কমবে বিদ্যুতের। একুশের মঞ্চ থেকে বিদ্যুতের দাম কমানোর পাশাপাশি, মমতা এটাও আশ্বাস দেন যে, জোর করে কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না।
একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জোর করে কারও ঘর ভাঙব না। জোর করে আমি জমি দখল করব না। তবে দেউচা পাঁচামিতে কয়লাখনি হবেই। সবচেয়ে ভালো কয়লা পাওয়া গিয়েছে দেউচাতে। দেউচা হলে আগামী ১০০ বছর আর বিদ্যুতের কোনও অভাব হবে না রাজ্যে। বিদ্যুতের দামও কমবে।’ এর সঙ্গে তিনি এটাও জোর দিয়ে বলেন যে, দেউচা পাঁচামিতে অন্তত ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। আদিবাসী যুবক-যুবতীরা সেখানে কাজের সুযোগ পাবে। ভালো করে দিন কাটানোর সুযোগ পাবে।
প্রসঙ্গত, দেউচা পাঁচামি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক-বিক্ষোভ রয়েছে। অনেক টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত ১৪ জুলাই দেউচা পাঁচামিতে কয়লা বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হরিণশিঙা দেওয়ানগঞ্জের প্রজেক্ট এলাকার কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, এইসব এলাকায় প্রথমে থাকে মাটির স্তর। এর নীচেই রয়েছে পাথরের স্তর। তার নীচে রয়েছে কয়লা। বোরিং করে দেখা হয় মাটির ঠিক কতটা নীচে সেই কয়লা রয়েছে। পাশাপাশি সেই কয়লার স্তর কোথায় কতদূর বিস্তৃত সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। মোট আটটি জায়গায় করা হয় বোরিং। বোরিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন ব্লকের বিডিও, বিএলআরও ও পিডিসিএলের আধিকারিকরাও।