বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের আর্থিক দুরাবস্থার নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত দেশ থেকে বিশ্ব অর্থনীতি। যেভাবে আর্থিক জিডিপি বৃদ্ধির হার কমছে এবং আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে তাতে চলতি আর্থিক বাজেটের প্রথম ত্রৈমাসিকেই অবস্থা একেবারে খারাপ ছিল। কিন্তু চলতি বছরের শেষ দিকে সেই অবস্থা আরও করুন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশ্বের তাঁবড় অর্থনীতিবিদরা। কার্যত অর্থনীতিবিদদের সেই আশঙ্কা সত্যিই হল। এবছর্র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে গেল 5 শংতাংশ। বর্তমানে সেই রেট দাঁড়িয়েছে 4.5 শতাংশে। চলতি আর্থিক বছরে গত ছয় মাসের রিপোর্টে এটিই সর্ব নিম্ন।
যদিও দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে এটিই প্রপথম বার নয়। কারণ, এর আগে অর্থাত্ 2012-2013 আর্থিক বছরেরে শেষে ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল 4.3 শতাংশ। তবে এবার জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের আর্থিক বৃদ্ধিক হার নেমে গিয়ে 4.5 শতাংশ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় 2.5 শতাংশ কম। যা নিয়ে রীতিমতো দেশের অন্দরেই চলছে ব্যাপক গুঞ্জন।
তবে আগামী বছর দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা ফিরবে বলে সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে তাই নতুন বছরের শুরুতে নতুন খবর আসতেই পারে। কিন্তু যেভাবে গত কয়েকমাস ধরে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল তা কিছুটা হলেও পারদ চড়েছে। গত এক মাস ধরে বেশ কয়েবার শেয়ার বাজার উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
তবে অর্থনীতি খারাপ হওয়ার পিছনে কারণ কি, মনে করা হচ্ছে দেশে বিয়োগের অভাব, বেসরকারি সংস্থাগুলির পারফমেন্স, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে শোচনীয় অবস্থার কারণেই এই পরিস্থিতি। যদিও মোদী সরকার 2024-এর মধ্যে দেশকে 5 ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছে নিয়ে যাওয়ার কথা বার বার বলছেন
কিন্তু 2019সালেই যদিও এমন বেহাল দশা হয় তাহলে সেই স্বপ্ন কতটা সফল হবে তা নিয়েও বেশ সংশয় রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমলেও দেশের অর্থনৈতিক মন্দা নেই বলে জানানো হয়েছিল।একইসঙ্গে মুদ্রস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানিয়েছিলেন।একইসঙ্গে, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি দেশের আর্থিক বৃদ্ধি বাড়বে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।