বাংলাহান্ট ডেস্ক: আইনি ব্যাপার স্যাপারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ওঠবোস সলমন খানের (Salman Khan)। কম আইনি ঝামেলায় তো জড়াতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়লেন ভাইজান। অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি তো এলোই না। উলটে অভিনেতার প্রতিবেশীর দাবিকেই মান্যতা দিল আদালত।
পানভেলে নিজের ফার্ম হাউসের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সলমন অভিযোগ করেছিলেন, এই বিবাদের মধ্যে প্রতিবেশী ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর ধর্মকে টেনে আনছেন। কেতন কক্কর নামে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন ভাইজান। তাঁর আবেদন ছিল, পানভেলের ফার্ম হাউস ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক।
উল্লেখ্য, সলমনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, অভিনেতার ফার্ম হাউসের পাশেই জমি কিনেছিলেন কেতন কক্কর নামে ওই ব্যক্তি। কিন্তু প্রশাসন দাবি করে ওই জমি অবৈধ। এরপরেই নাকি সলমনের পরিবারের উপরে কেতনের রাগ গিয়ে পড়ে। তিনি অভিযোগ করেন, ভাইজান ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে তাঁর জমিতে বসবাস করতে দিচ্ছেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে সলমনের ফার্ম হাউস ও পরিবারকে নিয়ে বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কেতন। তিনি দাবি করেছেন, বন আইন লঙ্ঘন করেছেন সলমন। প্রমাণ হিসাবে বন দফতরের তরফে অভিনেতার পরিবারের উদ্দেশে জারি করা শোকজ নোটিসও দেখিয়েছেন তিনি।
এখানেই শেষ না। অভিনেতার আইনজীবী দাবি করেছিলেন, কেতন অভিযোগ করেছেন যে সলমন ‘ডি গ্যাং এর ফ্রন্ট ম্যান’। রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নাকি বিশেষ চেনা পরিচয় রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, সলমনের ধর্ম নিয়েও কটাক্ষ করেছেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছে, অভিনেতা শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁর ফার্ম হাউসে বেশ কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রীর লাশও কবর দেওয়া রয়েছে!
যদিও কেতনের সমস্ত ভিডিও, সাক্ষাৎকার দেখার পর আদালতের বক্তব্য, এগুলোকে মানহানির পর্যায়ে ফেলা যায় না। কারণ ভিডিওতে কেতন সলমনের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য পেশ করেছেন এবং তাঁর বেআইনি কাজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।