এক মৌলবী শিক্ষা দেওয়ার নামে এমন কুকর্ম করেছিল যা পুরো সমাজকে লজ্জিত করেছিল। মাদ্রাসায় তালিম (শিক্ষা) দেওয়ার নামে এক বাচ্চা মেয়েকে যৌন ক্ষুদার শিকার বানিয়েছিল। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এখন আদালত ওই ঘটনার উপর অন্তিম রায় শুনিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে এক মৌলবীকে ২৩ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। এই মৌলবী মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়া নামে ৮ বছরের এক বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। আদালত মৌলবীকে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার সাথে সাথে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা লাগিয়েছে। শুনানীর সময় বাচ্চা মেয়েটি আদালতে মৌলবীর চিহ্নিতকরণ করেছিল। মৌলবীর নাম মহম্মদ করিম, সে মূলত বিহারের কিশনগঞ্জের বাসিন্দা।
এই মৌলবী নয়ডার সেক্টর-৪৯ এ ৮ বছরের এক বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। মাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ করিম কোরানের শিক্ষা দেওয়ার নামে বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে গেছিল। মাদ্রাসায় বাচ্চা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ধমকি দিয়েছিল ঘটনা কাউকে না বলার জন্য। নয়ডা সেক্টর-৪৯ এ একটা মসজিদ আছে আর তার পাশে বারউলাতে একটা মাদ্রাসাও আছে। ওই মাদ্রাসাতেই কুকর্ম করেছিল মৌলবী মহম্মদ করিম। মৌলবী বাচ্চাকে ধমকি দিয়েছিল ঘটনা কাউকে না বলার জন্য। কিন্তু বাচ্চা মেয়েটি বাড়িতে এসে সব জানানোর পর পুলিশের কাছে রিপোর্ট দায়ের হয়েছিল।
পুলিশ মৌলবীকে গ্রেফতার করে পসকো এক্ট অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিল।
এখন আদালত সেই মামলার শুনানি করতে গিয়ে মৌলবীকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। সাজার সময়কাল অনেক হলেও সাজা নিয়ে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কারণ এই মামলায় জনগণ সরাসরি মৃত্যুদণ্ড এর দাবি জানিয়েছিল।