জেলে বসেই প্রভাব খাটিয়ে কী করছেন জ্যোতিপ্ৰিয়? SSKM-র ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ আদালত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেল হেফাজতে বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘প্রভাবশালী’দের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আগেও একাধিকবার সামনে এসেছে। এবার ফের একবার সেই একই ইস্যু। কাঠগড়ায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়তি পরীক্ষা করানোর অভিযোগ উঠল SSKM হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল।

কী ঘটেছিল? আদালতের অনুমতি নিয়েই এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয়। জ্যোতিপ্রিয়র ঠিক কী কী পরীক্ষা হবে তার এক সুনির্দিষ্ট তালিকাও তৈরি করে দিয়েছিল আদালত। তবে আদালতের ঠিক করে দেওয়া তালিকার বাইরেও একাধিক পরীক্ষা হয় বালুর।

গতকাল বুধবার জ্যোতিপ্ৰিয়র স্বাস্থ্য পরীক্ষার নথি দেখতে গিয়ে বাড়তি পরীক্ষার বিষয়টি নিম্ন আদালতের বিচারপতির নজরে আসে। আদালতের নির্দেশের বাইরেও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হয় SSKM-এ। আর এই বিষয় সামনে আসতেই আদালতে উপস্থিত জ্যোতিপ্ৰিয়র আইনজীবীকে তুমুল ভৎসর্ণা করেন বিচারপতি। ঠিক কোন কারণে জ্যোতিপ্ৰিয়র বাড়তি পরীক্ষা হল? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

প্রভাবশালী বলেই কী বাড়তি সুবিধা? সাধারণ মানুষ হলে এই একই সুবিধা কী পেতেন? আদালতের প্রশ্ন শুনে আইনজীবী জানান, জেলে থেকে জ্যোতিপ্ৰিয়র চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার প্রয়োজন। পালটা মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে বিচারক বলেন, আপনার মক্কেলের স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন উদ্বেগের কিছু নেই রিপোর্টে। সবই তো পুরনো রোগ। জেলে বসে ওনার চিকিৎসা কেন সম্ভব নয়? কী এমন রোগ ওনার যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন?

jyotipriya mallick health report

আরও পড়ুন: ‘দুই প্রোমোটারকে জেলে ভরা উচিৎ’, বিধাননগর বেআইনি নির্মাণে ১ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ

বিচারকের প্রশ্নে আইনজীবী বলেন, বালুর সুগার ২৯০, আর আপনি বলছেন কিছু না! তিন মাসে জ্যোতিপ্ৰিয়র শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। ওনার ওজনও দিন দিন কমে যাচ্ছে। দিনে ৪ বার করে ওনার শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে জেলে বসে কিকরে সেই গাইডলাইন মেনে চলা সম্ভব? আদালতে প্রশ্ন করেন জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিকের আইনজীবী।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর