বাংলায় লকডাউন শেষ হতেবাকি মাত্র ৭২ ঘন্টা, বাড়বে কী মেয়াদ? রইল পরিসংখ্যান

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি কড়া লকডাউনের পক্ষপাতী নন। কিন্তু মানুষ কোভিড নিয়ম মেনে চলুক, সেটাই চান তিনি। তবে তার এই বার্তায়, কার্যত মেটেনি সমস্যা। রোজই বেড়ে যাচ্ছিল কোভিডের সংক্রমণ। এমনকি রীতিমতো আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছিল মৃত্যুর সংখ্যাও। প্রতিদিনই নতুন করে করোনার শিকার হচ্ছিলেন প্রায় শতাধিক মানুষ। সেই কারণেই শেষপর্যন্ত সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে গত ১৫ মে ১৫ দিনের জন্য রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের রননীতি ছিল, অর্থনীতিও যাতে কিছুটা সক্রিয় থাকে এবং সাথে সাথে মানুষকেও যাতে কিছুটা সুরক্ষা দেওয়া যায়।

এখন সেই লকডাউন ক্রমশ শেষের পথে। বাকি রয়েছে মাত্র ৭২ ঘন্টা। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোভিড পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হলেও আমাদের এই রাজ্যে। লকডাউনের আগে রাজ্যে প্রায় প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছিলেন কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ। এমনকি ১৫ মে রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৯,৫১১ জন। যা ছিল রীতিমতো ভয়াবহ। দশ হাজারের বেশি দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে যেকোন রাজ্যকেই লকডাউনে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন আইসিএমআর প্রধানও। রাজ্যের চিকিৎসকমহলের পরামর্শও ছিল একই। তবে ১১ দিন পর সংক্রমণ যে অনেকটাই কমেছে তা বলাই বাহুল্য।

শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ১৬ হাজার ২২৫ জন মানুষ। সংখ্যাটা আগের তুলনায় যথেষ্টই কম। শুধু তাই নয়, কমেছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে অ্যাক্টিভ করোনা রোগী রয়েছেন মাত্র ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৭৭ জন। করোনাকে জয় করে ঘরে ফিরেছেন ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৯৯ জন মানুষ। তবে লকডাউনের ফলে সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মৃত্যু নিয়ে এখনও যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে রাজ্যে। গত দুদিনেও মারা গিয়েছেন প্রায় তিনশো দশ জন মানুষ। তবে নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে লকডাউনের প্রভাবে আশাব্যঞ্জক তা বলাই যায়। বিভিন্ন রাজ্যের নিজস্ব লকডাউনের ফলে প্রভাব পড়েছে ভারতের সার্বিক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও। লকডাউনের আগে যেখানে প্রতিদিন সংক্রমনের গড় ছিল প্রায় চার লাখ, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় দু লাখে। লকডাউনের সুফল পেয়েছে রাজ্যের জেলাগুলিও। রাজ্যে সংক্রমণের হার এখন দাঁড়িয়েছে ১০.৮৭ শতাংশে। অনেকটাই ভাল অবস্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতার মতো জেলাগুলি। কলকাতায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা এখন প্রায় অর্ধেক৷ লকডাউনের যা ছিল ৪ হাজারেরও বেশি। তা এখন দাঁড়িয়েছে ২,৩৭৮ জনে।

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর