বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার। এই মামলায় ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে চলেছে। বিতর্ক আরো বাড়িয়ে এবার সিবিআই চার্জশিটে নাম উঠে এলো এক মৃত ব্যক্তির! যা ঘিরে শোরগোল তুঙ্গে।
কে এই মৃত ব্যক্তি? উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলার গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। পরবর্তীতে এই মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে সিবিআইয়ের হাতে; যার ফলস্বরূপ কয়েকদিন পূর্বে আদালতের নিকট ৩৫ পাতার একটি চার্জশিট পেশ করে তারা। এক্ষেত্রে মোট ৯৫ জনের নাম সাক্ষী হিসেবে পেশ করা হয়, যেখানে নাম উঠে এসেছে মাধব কৈবর্ত্য-র।
উল্লেখ্য, মাধব কৈবর্ত গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেনের বন্ধু। তবে গত এপ্রিল মাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। সায়গলের পরিবারের সঙ্গে বোলপুর ফেরার পথে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মাধব এবং সায়গল হোসেনের ছোট কন্যার। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, একজন মৃত ব্যক্তির নাম কেন চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই? এক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জীবিত থাকাকালীন তাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন মাধব।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তির হদিস মিলেছে। একইসঙ্গে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এসব কিছুই উল্লেখ রয়েছে সিবিআই চার্জশিটে। একইসঙ্গে এক্ষেত্রে নাম রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়ের, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে আর এবার মাধব কৈবর্ত্য-র নাম উঠে আসায় সেই বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পেল।
সূত্রের খবর, মাধবের কোনরকম স্টেটমেন্ট রেকর্ড করেনি সিবিআই। পাশাপাশি তিনি মৃত; তাহলে কোনরকম বয়ান ছাড়া একজন মৃত ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে রাখার মানে কি, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাধিক মহল। এক্ষেত্রে অবশ্য সিবিআই মাধবের প্রদান করা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের কথাই সামনে তুলে ধরেছে। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীয়ের নামও চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।