বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত সপ্তাহ থেকে দিল্লিতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্ট। তার বিপুল সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে ইডির জেরায় মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডলের সিএ মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)।
ইডির (ED) দাবি, এদিন জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন কোঠারি। একদিন আগেই ইডির জেরার চাপে পড়ে নিজের ওপর থেকে অভিযোগ সরিয়ে দুর্নীতির সব দায় মণীশের উপর চাপান অনুব্রত। অন্যদিকে, এদিনের জেরায় পাল্টা মণীশের দাবি, গরু পাচারের কালো টাকাতেই অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যার (Sukanya mondal) ১৬ কোটির ফিক্সট ডিপোজিট। পাশাপাশি অনুব্রতর নির্দেশেই সিএ হিসেবে কাজ করে গেছেন বলেও জানান মণীশ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন মণীশ। সূত্রের খবর এদিন ইডির জেরায় তিনি জানান, অনুব্রতর নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে সেই সবই হত অনুব্রতর কথায়। তিনি শুধু পেশাদার সিএ হিসেবে কেষ্টর নির্দেশ মেনে কাজ করতেন।
শুধু, অনুব্রতই নয়, পাশাপাশি তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ও কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের অ্যাকাউন্টও মণীশ দেখতেন বলে জানা গিয়েছে। অনুব্রতর গরু পাচারের বিপুল পরিমান কালো টাকা সাদা করেছেন এই মণীশই, এমনটাই ধারণা তদন্তকারী আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, কেষ্টর গ্রেফতারির পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। একে একে তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি আধিকারিকরা। সংস্থার ডাকেই শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরা দেন কেষ্টর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক।
অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীরে তলব করেছিল ইডি। অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও জানা যায়। ইডির নির্দেশ মতো দুদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। তবে দীর্ঘ জেরার পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। গতকাল এই কোঠারি বলেন, তার একমাত্র ভুল সিএ হওয়া। পাশাপাশি গরু পাচারের সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।