বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আজম খানের মুশকিল লাগাতার বেড়েই চলেছে। উত্তর প্রদেশের রামপুরের সাংসদ আজম খানের উপর এবার গরু/মহিষ চুরি করার অপবাদ লাগল। ওনার বিরুদ্ধে রামপুরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদের বিরুদ্ধে দুইজন ব্যাক্তি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজম খানের বিরুদ্ধে এক ব্যাক্তি দুটি মহিষ, আর আরেক ব্যাক্তি একটি মহিষ চুরি করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই মামলায় আজম খান সমেত ছয় জনের নাম দাখিল করা হয়েছে। আর ২০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিদের উপরে 504, 506, 427, 395, 448 এবং 492 ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপানদের জানিয়ে রাখি, ২০১৪ সালে সমাজবাদী সাংসদ আজম খানের নিজের মহিষ চুরি হয়ে গেছিল। তখন এই মামলা শিরোনামে ছিল। অনেকদিন ধরে এই মামলা মিডিয়া আর রাজনৈতিক মহলা উত্তাপ বাড়িয়ে চলেছিল। শেষে ৫ মাস বাদে পুলিশ এই মামলায় সফলতা অর্জন করেছিল। উত্তর প্রদেশ পুলিশ মহিষ চোরকে খুঁজে বের করেছিল। ইটাবার বকেবর থানার পুলিশ ও চোরকে গ্রেফতার করেছিল।
মহিষ চুরিতে অভিযুক্ত সালিম ইখতিয়ার বরেলি গেট সিভিল লাইন রামপুরের বাসিন্দা। সে আজম খানের গোয়াল থেকে মহিষ চুরি করার কথা স্বীকারও করেছিল। যখন আজম খানের মহিষ চুরি হয়েছিল, তখন উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সরকার ক্ষমতায় ছিল। এবং ওই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেশ যাদব। কিন্তু এবার আর সমাজবাদী পার্টির ক্ষমতা নেই, আর সমস্ত স্বাক্ষ প্রমাণ সাংসদ আজম খানের বিরুদ্ধে।
প্রথমে ওনার মহিষ চুরি হয়েছিল, আর সরকারে ওনার দল ছিল। এবার উনি মহিষ চুরি করেছেন (অভিযোগ অনুযায়ী) আর রাজ্যের ক্ষমতা বিজেপির হাতে। আর বিজেপি আসার পর সাংসদ আজম খানের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির মামলা সামনে আসছে। এর আগে বুধবার আজম খানের বিরুদ্ধে চলা ২৯ টি মামলায় জেলা আদালত অগ্রিম জামিন নাকোচ করে দেয়। আজম খানের বিরুদ্ধে জমি দখল, সরকারি সম্পত্তি দখল এবং অন্যান্য মামলায় জেলা আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।