২০১১ এর পর থেকেই ফিকে হতে শুরু করে বামেদের অস্তিত্ব । আর তারপর থেকেই তাদের দল ক্রমে সব জায়গা থেকে যেন সরে যেতে শুরু করেছে, বিগত নয় বছরে নিজেদের দল কে সব কিছু তেকে নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে বামেরা । কিন্তু সেই নিয়ে কম বিতর্কে জড়াতে ছারেনি বিরোধিরা ।
কিন্তু এবার ধর্মীয়স্থানগুলিতে এবার নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চায় সিপিএম নেতৃত্ব। আর তার থেকে তৈরি করতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ ভক্ত। দলের ৩ নম্বর পার্টি চিঠিতে এই কথার উল্লেখ করার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।কারন বিজেপি, আরএসএস-এর মতো সংগঠনগুলি দলের ক্ষমতা বাড়াতে চায়। এরাজ্যে আরএসএস এবং বিজেপিদের বারবারন্ত যে কতটা তা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কান্ডে তাদের কাজকম্মের নমুনা পেয়েছে বাংলার সাধারন জনগন । শুধু বাংলা কেন , গোটা ভারতেও এর পরিচয় মিলেছে। আপাত অর্থে জনগন এখন এই কাজের ক্ষেত্র বিচার করে এই দলের ওপ্অর বিরক্ত হ্যে পড়ছে । মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে মূলধন করে চলা দলে ধর্ম নিরপেক্ষ ভক্ত শব্দের মধ্যেই কোথাও সাম্প্রদায়িতা লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় আচারে সরাসরি যুক্ত না হয়েও, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। কারন এর আগে সব উৎসবে দেখা গেছে বামেদের যোগ দেওয়ার ব্যাপারটা।
দুর্গা পুজো থেকে কালীপুজোয় মণ্ডপের বাইরে স্টল দেওয়া বা বড়দিন সব জায়গায় একই ব্যপার , তারা স্টল দিতেন । পার্টি চিঠির ২৭ নম্বর পাতায় পার্টির শিক্ষা অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সদস্যদের এবং ক্যাডারদের সুস্থ ও সতেজ রাখতে শারীরিক ব্যায়াম প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। তবে দলিলে ধর্মনিরপেক্ষ ভক্ত শব্দ ব্যবহার করা নিয়ে হয়েছে বিতর্ক । তার পাশাপাশি পার্টির স্কুলের বিষয়ের মধ্যে শারীরিক প্রশিক্ষণও দিতে হবে । তবে কবে থেকে তা কার্যকর হবে তা এখনো বলা হয়নি ।