বাংলা হান্ট ডেস্ক: নির্বাচন সাহিত্যে সংখ্যার বদল। রাজ্যের ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে সমঝোতা করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয় তার জন্য চলছে একাধিক বৈঠক। বামেদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খড়্গপুর সদর ও কালিয়াগঞ্জ আসন ছাড়া হবে কংগ্রেসকে। বামেরা প্রার্থী দেবে করিমপুরে।
আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর ও করিমপুরে বিধানসভার নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২৮ নভেম্বর। উৎসব শেষ হতেই শুরু হয়েছে ভোটের তোড়জোড়।আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সোমেন মিত্র ও বিমান বসু। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে আগামীর রণনীতি। রাজনীতিতে করতে গিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত সামনে। সব ভোটেই কংগ্রেস সিপিএম জোট করে লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, আগামী ৩০ অথবা ৩১ অক্টোবর বামফ্রন্টের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে প্রার্থীর নাম।
সিপিআইএমের নির্দিষ্ট কিছু পার্টি লাইন রয়েছে। কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরি ইঙ্গিত দিয়ে যান যে, এই খসড়াতে কিছু সংশোধন আনা হবে। কারণ রাজ্যের পরিস্থিতির বিচারে সিপিআইএম মনে করছে, তাঁরা একা লড়ার অবস্থায় নেই। আর যখনই লড়াইয়ের কথা ভেবেছে তখনই পরাস্ত হয়েছে। লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে। সিপিআইএম-এর। রাজ্যে খাতা-ই খুলতে পারেনি বামেরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস পায় মাত্র ২টি আসন। অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে, জাতীয় দলের মর্যাদা কার্যত খোয়াতে বসেছে সিপিআইএম। এহেন পরিস্থিতিতে জোট না করলে দলের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নেতারা। সংঘাত তৈরি হয়েছে নেতাদের মধ্যেও।
কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জোট করেই বিজেপি ও তৃণমূলকে রোখা সম্ভব। এখন বোঝা যাচ্ছে না যে বিজেপি না তৃনমূল কাকে ঠেকাতেই জোট? যে যেখানে শক্তিশালী সেখানেই প্রার্থী দেবে। শুধু উপনির্বাচন নয়, আগামী পুরসভাগুলিতে থাকবে জোট। উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে ২টি আসন ছেড়ে দিতে চলেছে সিপিএম। এখন দেখা যায় আগেই জোট রাজনীতির সুফল কতটা ফলে?