অষ্টমীর অঞ্জলির মন্ত্র মাইকে চলায় চটলেন বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী ও কমিশনারকে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চলছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (durga puja)। এই সময় মন্ডপে মন্ডপে সকাল থেকেই মায়ের আরাধনায় নানারকম গানবাজনা এবং সেইসঙ্গে মাইকে চলছে থাকে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ। এসবের মধ্যে অষ্টমীর সকালটা একটু অন্যরকম ভাবেই শুরু হয়। তাড়াতাড়ি স্নান সেরে মন্ডপে গিয়ে অঞ্জলী দেওয়া ধুম পড়ে যায়।

কিন্তু এই অষ্টমীর শুভ মুহূর্তই কিছুটা অপছন্দের হয়ে উঠল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (bikashranjan bhattacharya) কাছে। ‘কেন মাইকে মন্ত্রোচ্চারণ করা হবে?’ এই নিয়ে পুলিশ কমিশনার, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে স্যোশাল মিডিয়ায় দিলেন নিজের ক্ষোভ উগরে।

https://www.facebook.com/bikashranjan.bhattacharyya/posts/10157911309347583

নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্যোশাল মিডিয়া ওয়ালে লিখলেন, ‘এ শহরে নেই মহানাগরিক। আছে ,এক মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধী মুখ্যমন্ত্র। তাদের কাছে নাগরিকদের কোন বিশেষ আশা নেই। কিন্তু, এক নগরপাল তো আছেন। ,আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়প্রাপ্ত। আইনের অনুশাসন রক্ষা করা যার প্রাথমিক কর্তব্য। তিনি কি বধির? মাইকে চলছে উন্মত্ত চীৎকার। শব্দদূষণ কথাটাই যেন অবলুপ্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রপাঠ ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়। চিলচিৎকারে অবোধ্য কিছুশব্দ জোর করে শোনাতে হবে? সেটা কোন সংস্কৃতির অঙ্গ তা আমার জানা নেই। নগরপাল একটু নড়াচড়া করুন। কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করুন।’

বামনেতার এমন পোস্ট দেখে স্যোশাল মিডিয়ায় ওঠে সমালোচনার ঝড়। কেউ কেউ লিখলেন, ‘সহমত। কিন্তু, ‘সমান্তরাল ভাবে আজানটাও ব্যাক্তিগত। তাহলে সেই চিলচিৎকারে প্রতিদিন এতবার করে শুনতে হবে কেন?’ আবার কেউ তো বামনেতাকে ‘নাস্তিক’ বলে সম্বোধনও করলেন।

প্রসঙ্গত, গতবছর করোনা আবহে পুজো বন্ধের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে বাঙালিদের কাছে ভিলেন হয়েছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর এবার মহাষ্টমীতে অঞ্জলির সময়ে মাইকে মন্ত্রোচ্চারণের বিরোধিতা করে আবারও বিতর্কে জড়ালেন তিনি।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর