Ekchokho.com 🇮🇳

ডিজিটাল প্রতিবাদের পথে CPIM! রোজ রাত ৯টা থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত ফোন বন্ধ রাখার জরুরি বার্তা

Published on:

Published on:

CPIM urges digital silence for Gaza

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত এখনও জারি। গাজার সাধারণ মানুষের রক্তস্নাত বাস্তব যখন চোখে জল আনে, তখন প্রতিবাদ জানানোর এক অভিনব পথ বেছে নিয়েছে সিপিআই(এম) (CPIM)। দল জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মোবাইল ফোনও হতে পারে প্রতিরোধের অস্ত্র। তাই রোজ রাত ৯টা থেকে ৯.৩০টা পর্যন্ত দেশবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে ফোন বন্ধ রাখতে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্যান্সে নামছে বামফ্রন্ট (CPIM)

সিপিআই(এম)-এর (CPIM) এই প্রচারাভিযানের নাম ‘Silence for Gaza’। কোনও মিছিল নয়, কোনও পোস্টার নয়—প্রতিবাদ হবে নিঃশব্দে, ডিজিটাল দুনিয়ায়। দলের আহ্বান, কেউ যেন ওই আধঘণ্টায় (Social Media, Digital Footprint) ফোনে সময় না কাটান, না করেন কোনও পোস্ট, না দেন কোনও রিয়্যাকশন। তাদের কথায়, “এটাই হবে নীরব অথচ দৃঢ় এক প্রতিরোধ।”

যুদ্ধবিরোধী বার্তা মোবাইল বন্ধের মধ্যেই

সিপিআই(এম)-এর (CPIM) যুক্তি, আধুনিক প্রযুক্তিই যখন নজরদারির হাতিয়ার, তখন সেই মাধ্যমেই হোক প্রতিরোধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের এক রিপোর্ট তুলে ধরে তাদের দাবি, একাধিক বহুজাতিক সংস্থা (MNCs) ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধে মদত দিচ্ছে। তাই রোজ আধ ঘণ্টার জন্য Digital Silence যেন একটা জোরালো বার্তা হয়ে ওঠে, যার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষ দেখবে—ভারতের সাধারণ নাগরিকরাও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

CPIM urges digital silence for Gaza

আরও পড়ুনঃ ঘুরে গিয়েছেন ঋষি সুনক থেকে জেডি ভান্স, বিশ্বনেতাদের অন্যতম প্রিয় স্থান, ভারতের এই মন্দিরটি চেনেন?

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলার পরে গাজায় শুরু হয় ইজরায়েলের দমন অভিযান। গাজা (Gaza Conflict) এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপ। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৫৭ হাজারের বেশি মানুষ। গৃহহীন প্রায় ২০ লক্ষ। দুর্ভিক্ষ চরমে। অথচ, বিশ্বের বড় শক্তিগুলির নীরবতা এই অবস্থা আরও জটিল করেছে। সেই কারণেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদ।

সিপিআই(এম)-এর (CPIM) মতে, “এই পদক্ষেপ ছোট মনে হলেও এর প্রতীকী তাৎপর্য বিশাল। আমরা চাই মানুষের প্রতিক্রিয়া, সচেতনতা এবং প্রতিবাদ।” সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় যা কিছু ভাইরাল হয়, তার বাইরেও যে কিছু নীরব বার্তা থাকতে পারে, সেটাই বুঝিয়ে দিতে চাইছে বামেরা। আন্দোলনের ভাষা বদলালেও, বার্তা স্পষ্ট—War Crimes Must End।