বাংলা হান্ট ডেস্ক: তেহট্টে বামেদের জয়জয়কার। প্রার্থীই দিতে পারল না তৃণমূল (TMC)। তেহট্টের মৃগী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় পেল বামেরা। ৬২টি আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে জয়লাভ করলেন বাম প্রার্থীরা (CPIM)। বাকি ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)।
এই নির্বাচনে তৃণমূল ছিল কার্যত উদাসীন। জোড়াফুল শিবির কোনও প্রার্থী দেয়নি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তেহট্ট এলাকার একটি পঞ্চায়েতও নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি তৃণমূল। কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে এরপর প্রার্থীই দেয়নি তারা।
রবিবার ছিল মৃগী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচন। সেখানেই ৫০টি আসনে জয়লাভ করে পরিচালন কমিটির দখল নিল সিপিআইএম। ফলাফল ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। সিপিআইএমের দাবি, হার নিশ্চিত বুঝেই প্রার্থী দেয়নি শাসকদল। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance) মেনে প্রার্থী দেয়নি শাসকদল।
এই নিয়ে বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য সৌমেন সরকার বলেন, ‘মৃগী সমবায় সমিতি বামেদের আঁতুড়ঘর। প্রতিটি বাড়িতে সিপিএম পাঁচ-সাতটা করে সদস্য করেছে। এবার ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোট করেছে। অনেকেই বলছেন, তারা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এবার এই প্রথম আমরা ১২টা আসনে জিতেছি।’
যদিও বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা (Tapas Saha) বলেন, ‘সময়গুলিতে সিপিএম তাদের নিজেদের মানুষদের ভোটার করে রেখেছে। ফলে সেখানে আমাদের প্রার্থী দেওয়া, না দেওয়া সমান। তাছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছিটকা গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের ভরাডুবি হয়েছে। আমরা ওই এলাকায় সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছি। সেই কারণেই আমরা সমবায় নির্বাচনে প্রার্থী দিইনি।’
এদিকে সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য মানস মণ্ডল বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমবায়ের পক্ষে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তার জন্য আমরা সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরে ছিটকা সমবায় সমিতিতে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেখানে বিপুল ভোটে পরাস্ত হয় তারা। তাই সবটা বুঝেই প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল।’