বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড়সড় বিপর্যয় কলকাতা মেট্রোয় (Kolkata Metro)। বসে যাচ্ছে নিউ গড়িয়া ওরফে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। থামে ফাটল ধরা থেকেই বিপত্তির সূত্রপাত। অন্দরের খবর, স্টেশনের একাধিক পিলারেই নাকি ফাটল ধরেছে। এমতাবস্থায় সম্পূর্ণ স্টেশন ভেঙে ফেলে নতুন করে গড়তে হবে আস্ত স্টেশন। শুরুও হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। আপাতত প্রায় এক বছর বন্ধ থাকবে এই মেট্রো স্টেশন (Kolkata Metro)। এদিকে এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
শুরু হয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন (Kolkata Metro) ভাঙার কাজ
গত ২৮ শে জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। কিছুদিন আগেই এই স্টেশনের পিলারে দেখা দিয়েছিল ফাটল। অভিযোগ, একের পর এক পিলার, প্ল্যাটফর্ম বসে যাচ্ছে। বড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে তাই তড়িঘড়ি স্টেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়ে গিয়েছে স্টেশন ভাঙার কাজ। খুলে ফেলা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মের শেড।
কত দিন বন্ধ থাকবে স্টেশন: কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ব্লু লাইনের দক্ষিণে প্রান্তিক স্টেশন নিউ গড়িয়া। তার আগে ব্রিজি স্টেশন অর্থাৎ শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলাচল করছে আপ এবং ডাউন মেট্রো। এটিই আপাতত প্রান্তিক স্টেশন হিসেবে কাজ করছে। এমন বিপত্তির জেরে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে নিত্যযাত্রীদের। ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে নিউ গড়িয়া অঞ্চলের যাত্রীদের। সূত্রের খবর, প্রায় এক বছর পুনর্নির্মাণের জন্য বন্ধ থাকবে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন (Kolkata Metro)।
আরও পড়ুন : ছবি মুক্তির আগেই আইনি জটে, অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে মামলা গড়াল হাইকোর্টে
শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর: উল্লেখ্য, ২০১০ সালে চালু হয়েছিল কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। মাত্র ১৫ বছরেই এমন বেহাল দশা স্টেশনের! নেপথ্যে দায় কার, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মেট্রোরেলের (Kolkata Metro) দাবি করেছিলেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের থেকে টাকা তুললেও কাজ করেছিল দিল্লির রেল। স্টেশন নষ্ট হওয়ার জন্য অর্থের কারচুপির অভিযোগ এনেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : TRP তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন, পুজোর আগেই আসছে একগুচ্ছ নতুন সিরিয়াল! কোন চ্যানেলে?
পালটা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। দলীয় নেতা কৃশানু মিত্রের বক্তব্য, ১৯৯৯ সালে এই প্রকল্পের জন্য বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ শুরু হওয়ার পর তিনি রেলমন্ত্রক ছেড়ে দেন। ২০০৫-০৭ সালে ওই অংশটি তৈরি হয় যেখানে ফাটল ধরেছে। সে সময় রাজ্যে বাম সরকার এবং কেন্দ্রেও বাম সমর্থিত ইউপিএ১ সরকার ছিল। ২০০৪-০৯ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের আমলে মূল অংশটি তৈরি হয়েছিল। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী হন কী করে? প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল।