বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেরবার বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য (Tanmoy Bhttacharya)। এই অভিযোগের জেরেই এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও বাদ পড়তে চলেছেন প্রবীণ রাজনীতিক। শোনা যাচ্ছে, সাসপেনশনের পর আসন্ন জেলা সম্মেলনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও তাকে বাদ দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন।
আগামী জানুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও তন্ময় ভট্টাচার্যকে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করা নিয়ে দলের মধ্যেই তুমুল বিতর্ক চলছিল। যদিও শেষমেশ সদস্যপদে বহাল থাকেন তন্ময়বাবু। তবে এবার তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযোগের জেরে আসন্ন জেলা সম্মেলনে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে প্রাক্তন বাম বিধায়ককে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmoy Bhttacharya) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শোরগোল পড়েন। হেনস্থার অভিযোগ তুলে লাইভ করেন এক মহিলা সাংবাদিক (Female Journalist)। রবিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভ করে ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, সকালে তিনি তন্ময়ের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন, সেই সময় নাকি হঠাৎই সিপিএম নেতা তার কোলে বসে পড়েন। সেই নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও নানা ভাবে তন্ময় তার সঙ্গে ‘অন্যরকম’ ব্যবহার করেছেন। তবে এবার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি বাধ্য হয়েছেন সকলকে সবটা জানাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলা সাংবাদিক লেখেন, ‘চার বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। কিন্তু এত খারাপ অভিজ্ঞতা আমার কখনও হয়নি। আসলে পোটেনশিয়াল রেপিস্ট এরাই। এদের চিনে রাখা দরকার। আমি বিষয়টাকে কোনওভাবে কন্ট্রোল করে ইন্টারভিউ নিই। কারণ এটাই আমার কাজ। মানসিকভাবে এত ইরিটেশন হচ্ছিল যে আমি এক্সপ্লেইন করতে পারব না।’
যদিও গোটা ঘটনাই অস্বীকার করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। সাফাই দিয়ে বাম নেতা বলেন, ‘একটা বাচ্চা মেয়ে। ওকে আমি মা বলে ডাকি। ও একথা বলবে আমি ভাবতে পর্যন্ত পারছি না।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি স্বভাবগত ভাবে সকলের সঙ্গেই ইয়ার্কি করে থাকি। এই মেয়েটি এর আগে অন্তত দশবার আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আগেও আমি ওর সঙ্গে ইয়ার্কি করেছি। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে কী হল আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।’’
আরও পড়ুন: অবশেষে…! কিস্তিতে মেটানো হবে বকেয়া DA-র টাকা, কালীপুজোর আগেই বড় ঘোষণা রাজ্যের
চক্রান্তেরও অভিযোগ তুলেছিলেন তন্ময়। পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছিলেন, তার বাড়ি থেকে বরাহনগর থানার দূরত্ব হাঁটাপথে মাত্র ৫ মিনিটের হলেও অভিযোগকারিণী অভিযোগ দায়ের না করে কেন ফেসবুক লাইভ করলেন? পরে অবশ্য প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা সাংবাদিক। ইতিমধ্যেই তন্ময়কে সাসপেন্ড করা হয়েছে সিপিএম তরফে। পুলিশ তরফে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। আর এরই মধ্যে এবার জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও বাদ পড়তে চলেছেন তন্ময়বাবু।