অভিষেককে আক্রমণ করতে ‘পতিতা” শব্দের ব্যবহার! চাপে পড়ে ভুল শোধরালেন সেলিম, এবার লিখলেন …

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ওপর রাজনৈতিক উপায়ে আঘাত হানতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (CPM State Secretary Md Salim)। শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছিল সেলিমের বিরুদ্ধে। এবার চাপের মুখে পড়ে পিছু হটল বাম নেতা।

প্রসঙ্গত, সোমবার সেলিম লিখেছিলেন, ‘“সাংসদ ওরফে মাফিয়া ডন কয়লা পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতির মতো একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত নিউইয়র্ক থেকে সেলফি পোস্ট করছেন। দেশ থেকে পালিয়েছেন। আর তাতে সাহায্য করেছেন তাঁর বিজেপির ‘বস’রা।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “অসদুপায়ে প্রাপ্ত অর্থ পাচার করতে ১৫ জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।” ইংরেজিতে ‘প্রস্টিটিউট’ শব্দটি লিখেছিলেন সেলিম। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। বাইরের চাপের পাশাপাশি খোদ দলের মহিলা কর্মীরাই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককের কথার তীব্র সমালোচনা করেন।

দলের মহিলা নেতৃত্বের একাংশের কথায়, বামপন্থীরা ‘প্রস্টিটিউট’, ‘পতিতা’ বা ‘বারবণিতা’ এই শব্দগুলি ব্যবহার কখনও করে না। তার পরিবর্তে মহিলাদের সম্মানার্থে তাদের ‘যৌনকর্মী’ বা ‘সেক্স ওয়ার্কার’ বলা হয়। দলের অন্দরেই নেতার মন্তব্য নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়।

Md Salim,CPM State Secretary,prostitute Word,Tweet,Md Salim Controversy,মহম্মদ সেলিম,সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক,যৌনকর্মী শব্দ,মহম্মদ সেলিম বিতর্ক,Bangla,Bengali,Bengali News,Bangla Khobor,Bengali Khobor

ওদিকে আসরে নামে তৃণমূলও। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কারও নাম উল্লেখ না করেই সোমবার পাল্টা টুইটে লেখেন, ‘‘কয়েকবছর আগের কথা। পার্টির কাজ আছে বলে এক নামী নেতা বান্ধবীর সঙ্গে একটি রাজ্যের হোটেলে চলে যান। তার বিমান এবং হোটেলের কাগজ তার বাড়িতে দেন পার্টিরই আর এক নেতা। আমাদেরও দেন। চূড়ান্ত অশান্তি হয়। আমরা সৌজন্যের খাতিরে তখন ছাপিনি। এ বিষয়ে আপনার কিছু জানা আছে মহম্মদ সেলিম?’’

সেলিম অবশ্য নিজের করা সেই টুইটের জন্য ক্ষমা চাননি । তবে কৌশল করে নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন। মঙ্গলবার ফেসবুকে মহম্মদ সেলিমের একটি পোস্ট দেখা যায়। তাতে একটি অংশে লেখা, ১৫ জন বিদেশি ‘যৌনকর্মীর’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত। ‘পতিতা’র বদলে সেখানে লিখেছেন যৌনকর্মী। বাকি লেখা একই রয়েছে। এক সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুসারে প্রথমে বিতর্কিত টুইট ডিলিটের কথা ভেবেছিলেন মহম্মদ সেলিম। তবে তাতে বিতর্কের আগুন আরও ছড়াতে পারে এই আঁচ করেই কৌশলে শব্দ বদলে দেওয়া হয়েছে।