বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এই মুহূর্তে ভালো ছন্দে রয়েছেন পর্তুগিজ মহাকারকা তথা সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। নিজের নতুন ক্লাব আল নাসেরের হয়ে তিনি গোল করছেন, সতীর্থদের গোল করাচ্ছেন, ক্লাবকে ট্রফি জেতাচ্ছেন। আজও গোটা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ফুটবল ভক্ত রাত জাগছেন ৩৮ বছর বয়সী তারকার খেলা দেখার জন্য।
যখন তিনি ইউরোপিয়ান ফুটবলের মায়া কাটিয়ে সৌদি আরবে চলে এসেছিলেন তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে তার ফুটবল কেরিয়ার কার্যত শেষ হয়ে গেলো। এখন শুধুমাত্র পয়সার জন্যই মাঠে নামবেন সিআরসেভেন। কিন্তু তেমনটা একেবারেই হয়নি। আজও রেফারির কোনও সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে গেলে একইভাবে মাঠে গর্জে উঠছেন রোনাল্ডো। ৮০০-র বেশি গোল নামের পাশে থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকটা গোল একইরকম আনন্দের সাথে উদযাপন করছেন। দল পিছিয়ে পড়লে একজন প্রকৃত অধিনায়কের মতোই সতীর্থ এবং স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভক্তদের ভরসা করে একজোট হয়ে লড়াই করার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন। এই লড়াকু মানসিকতার জন্যই হয়তো লিওনেল মেসি ফুটবল জগতের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল তারকা হলেও একই সময়ে খেলা রোনাল্ডোর ভক্ত গোটা বিশ্বে সমান বা কিছুটা হয়তো বেশি।
ভারতীয় দলের তারকা পেসার মহম্মদ সিরাজও একজন সিআরসেভেন ভক্ত। তিনিও রোনাল্ডোর মতোই গরিব একটি পরিবার থেকে উঠে এসে আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই জন্যই হয়তো রোনাল্ডোকে বড্ড বেশি পছন্দ করেন তিনি। গতকাল নিজের ৬৩ তম হ্যাটট্রিক করে ক্রিশ্চিয়ানো আল নাসেরকে জেতানোর পর তাই সিরাজ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় রোনাল্ডোর প্রশংসা করে তাকে সর্বকালের সেরা আখ্যা দিয়ে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন সিরাজ।
মহম্মদ সিরাজ এই মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এশিয়া কাপে মাঠে ফেরার জন্য। গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল সমস্ত ফরম্যাট থেকে। এই মুহূর্তে ওডিআই ফরম্যাটে নতুন বল হাতে ভারতের সেরা অস্ত্র তিনি। নতুন বল হাতে নিয়ে উইকেট তোলাটা নিজের অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন সিরাজ। আর কোন ব্যাটারকে বোল্ড করতে পারলেই তাকে রোনাল্ডোর বিখ্যাত ‘সিইইইউউউ’ সেলিব্রেশন করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডো হলো না, তবে AFC চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে ভারতের মাটিতে পা রাখছে নেইমারের আল হিলাল
অনেকেই মনে করেন যে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপে বুমরা বা শামি নন, ভারতীয় বোলিংকে নেতৃত্ব দেবেন সিরাজই। আর নিজের আদর্শ ক্রীড়াবিদ রোনাল্ডোর মতো যদি তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার প্রবণতা রপ্ত করতে পারেন তাহলে কে বলতে পারে, হয়তো ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফের একবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় করতে পারবে না ভারত।