বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদের উপর নির্বিঘ্নে ভোট করানোর দায়িত্ব, এবার তাঁদের সঙ্গেই সংঘর্ষে লিপ্ত হল শাসক দল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব ক্যানিং বিধানসভার জীবনতলা বাজার এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শনিবার জীবনতলা বাজার এলাকায় তৃণমূলের একটি সভা ছিল। তৃণমূলের ওই সভার ফলে এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরস্থিতি সামাল দিতে আসে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বচসা বাঁধে। আর সেই বচসাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের মিটিংয়ের ফলে এলাকা সৃষ্টি হওয়া যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে এগিয়ে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে জওয়ানরা। এরপরই উন্মাদি ভিড় কেন্দ্রীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোঁড়া শুরু করে। পাথরবাজিতে আহত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছয়জন জওয়ান।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণের খবর পাওয়ার পর এলাকায় আরও জওয়ান চলে আসে। তাঁরা এসে লাঠিচার্জ করে। জওয়ানদের লাঠির আঘাতে আহত হন তৃণমূলে বেশকিছু কর্মী-সমর্থক। এরপর পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তাড়া করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। দেওয়া হয় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও। পরিস্থিতি সামাল দিতে SDPO-এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী চলে আসে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী সওকত মোল্লার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। তাঁরা ইচ্ছে করে দলীয় কাজে বাধা দিচ্ছে। শনিবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রবিবার সওকত মোল্লার নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। তাঁরা অভিযোগ করে জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এলাকায় ভীতির পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।
যদিও স্থানীয় পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় যে, উন্মাদি জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথরবাজি করে। এরপরই এরকম উত্তেজক পরস্থিতি সৃষ্টি হয়। বলে রাখি, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে কমিশনের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা বলা হয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর আক্রমণ করা হলে তাঁরা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে পারবে। কিন্তু গতকালের এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালান নি।