বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে উত্তর কোরিয়ার (North Korea) স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন (Kim Jong-un) এর মৃত্যুর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আরেকদিকে ওই দেশের সরকার এক আজব ফরমান জারি করে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে। নতুন ফরমানে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফরমানে এও বলা বয়েছে যে, শুধু সুস্থ বাচ্চারাই না অসুস্থ বাচ্চাদেরও স্কুলে আসতে হবে। কিন্তু অসুস্থ বাচ্চারা স্কুল শেষ করে আর বাড়িতে ফিরতে পারবে না।
দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মাঝেই ১ সেপেটেম্বর থেকে স্কুল খোলার নির্দেশিকা জারি করেছে কিম সরকার। একপ্রেস.কো.ইউকে এর একটি রিপোর্টে এই কথা জানা যায়। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, দেশের সমস্ত পড়ুয়াকেই স্কুলে যাওয়ার কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর যদি কোন পড়ুয়া জ্বর অথবা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে তাঁকেই স্কুলেই আটকে দেওয়া হবে। ওই পড়ুয়াকে স্কুলের আশেপাশে আইসোলেট করা হবে, সেখান থেকে তাঁকে পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে হবে। তাঁকে বাড়ি ফেরা অথবা হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন (Kim Jong Un) দেশের মানুষদের জন্য এক আজব ফরমান জারি করে। কিম জং নিজের দেশের মানুষদের তাঁদের পোষ্য সারমেয়দের মাংস রেস্তোরাঁ গুলোতে সরবরাহ করার আদেশ জারি করে। উল্লেখ্য, কিম জং খাদ্য সামগ্রীর অভাব মেটাতে সারমেয়দের কেটে খাওয়ার আদেশ জারি করেছে।
জং এর এই আদেশের পর দেশের মানুষও চরম ধর্ম সঙ্কটে পড়েছে। যাঁদের বাড়িতে পোষ্য সারমেয় আছে, তাঁদের এখন একটাই আশঙ্কা যে সেগুলোকে তুলে নিয়ে গিয়ে রেস্তোরাঁ না বিক্রি করে দেয় সরকার। জানিয়ে দিই, গত জুলাই মাসে কিম জন্য কুকুর পোষা আইন বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিল, আর বলেছিল এটি পুঁজিবাদীদের কাজ। আর এক মাস পর কিম পোষ্য সারমেয় গুলোকে মারার আদেশ দেয়।
কিম এর মতে গরীব মানুষ গোরু, ভেড়া, ছাগল আর শুয়োরের মতো পশুদের পালন করে মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে। আরেকদিকে, প্যাংইয়াং এর মতো শহরে বড়লোকেরা কুকুর পালন করে। এটা পশ্চিমি সভ্যতা আর পুঁজিবাদী বিচারধারার প্রতীক। উত্তর কোরিয়ায় পশ্চিমি সভ্যতা আর পুঁজিবাদীদের জন্য কোন জায়গা নেই। দেশে কুকুর পোষা দণ্ডনীয় অপরাধ।
আর এই কারণে উত্তর কোরিয়ায় স্বৈরাচারী শাসক কুকুর পোষাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেগুলোকে রেস্তোরাঁয় বিক্রি করার আদেশ দিয়েছে। বিগত কয়েকমাসে করোনার কারণে উত্তর কোরিয়া খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। কয়েক সপ্তাহ আগে সংযুক্ত রাষ্ট্র বলেছিল যে, উত্তর কোরিয়ার বেশীরভাগ পরিবার অনাহারে দিন কাটায়। আর খুব কম মানুষই দিনে দুবেলা পেট ভরে খেতে পারে।