বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এফসি কাপের (AFC Cup) ম্যাচে মালদ্বীপের প্রতিপক্ষ মাজিয়া এফসি-কে (Maziya FC) হয়তো একটু বেশি হালকাভাবে নিয়ে নিয়েছিল গতবারের আইএসএল (Indian Super League) চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান (Mohun Bagan SG)। তার ফল তাদের ভুগতে হচ্ছিল ম্যাচ চলাকালীন। অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ সময় কাটানোর পর অতিরিক্ত সময়ে জেসন কামিন্সের (Jason Cummings) ম্যাচ উইনিং গোলে পয়েন্ট নষ্ট করার হতাশার হাত থেকে রক্ষা পায় মোহনবাগান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বদেশী প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসিকে দাপট দেখিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল সবুজ মেরুণ শিবির। গুনে গুনে চারটি গোল করেছিল তারা সের্জিও লোবেরার দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এদিন মোহনবাগানের খেলায় সেই দাপট দেখা যায়নি। কপাল খারাপ থাকলে ম্যাচে হেরেও ফিরতে হতে পারতো তাদের।
ম্যাচের প্রথমার্ধে হুগো বুমোর পাস ধরে দুর্দান্ত শটে মাজিয়া গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছিলেন কামিন্স। এরপর ম্যাচের ৪০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল মোহনবাগান। মাজিয়ার প্লেয়াররা আপত্তি জানালেও রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। কিন্তু সেই পেনাল্টিটা নিতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা মোহনবাগানের তারকা বিশ্বকাপ খেলা অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার পেনাল্টি নিতে এগিয়ে গিয়ে নিজে শট না নিয়ে হালকা ফরোয়ার্ড পাস বাড়িয়ে দেন যাতে পেট্রাটোস পেছন থেকে ছুটে এসে গোল করতে পারে। ২০১৬ সালে বার্সেলোনার হয়ে এমনটাই করে দেখিয়েছিল মেসি ও সুয়ারেজের জুটি। কিন্তু পেট্রাটোস এদিন সময়ে বলের কাছে পৌঁছতে পারেননি। মাজিয়ার ডিফেন্স মরিয়া হয়ে বল ক্লিয়ার করে দেয়।
আরও পড়ুন: লিগের প্রথম জয়! পিছিয়ে গিয়েও ক্লিয়েটনের জোড়া গোলে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ইস্টবেঙ্গলের
এই হঠকারিতার ফল ভুগতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে দূরপাল্লার দুরন্ত শটে গোল করে তোমোকি ওয়াদা সমতা ফেরান মাজিয়ার হয়ে। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করার চাপ দ্বিতীয়ার্ধে পেতে থাকে মোহনবাগান। প্রতি আক্রমণে বারবার বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল মালদ্বীপের ক্লাবটি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল মোহনবাগানেরই। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সাহাল আব্দুল সামাদের পাস ধরে প্রথমার্ধে পেনাল্টি নষ্ট করে প্রায় খলনায়কে পরিণত হওয়া কামিন্সই এদিন নায়ক হয়ে যান গোল করে।