বাংলা হান্ট ডেস্ক : সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) সূত্রে খবর, নিম্নচাপ পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৪-১৫ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ১৫০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে।
একদিকে যখন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, তখন অপরদিকে পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।
এক নজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩৯.৯°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২৯.৫° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৬৪%
বাতাস : ১২ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৫৯%
কলকাতার আবহাওয়া : আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৮ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় গরম ও অস্বস্তির আবহাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা কমে হয়েছে ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ২৯ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া : দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি ছয় জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১২ মে শুক্রবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির কোনওরকমের পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় তাপজনিত কারণে অস্বস্তির আবহাওয়া বজায় থাকবে আরও অন্তত তিন দিন। তবে দিনের তাপমাত্রার তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : আগামী ১২ মে শুক্রবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির তেমন কোনও রকমের পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া মোটামুটি শুকনো থাকবে। দক্ষিণবঙ্দের বিভিন্ন জায়গায় তাপজনিত কারণে অস্বস্তির আবহাওয়া বজায় থাকবে আরও দিন তিনেক। এর মধ্যে দিনের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।
মৎসজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা : আবহাওয়া দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে লাল সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়জনিত কারণে তাঁরা যেন ১২ থেকে ১৪ মের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান। আর যারা গভীর সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁরা যেন ১১ মে-র মধ্যে ফেরত আসেন।