বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকালই সাগরে ফুঁসতে থাকা নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে (Low Pressure) পরিণত হয়েছে। ভারতীয় মৌসম ভবন তরফে দেওয়া সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, বর্তমানে অতি গভীর নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, অতি গভীর নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক খেয়ে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে। শনিবার ভোররাতে মোংলা এবং খেপুপাড়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল পার করবে সেই ঘূর্ণিঝড়। এরপর বাংলাদেশের স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। সেইসময় ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ২১ নভেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলাকে সতর্ক করেছে নবান্ন। নবান্নের (Nabanna) তরফে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ৬ হাজার পাতার নথিতেই ক্লু? ED-র তলব ‘এই’ সকল ব্যক্তিদের, তুঙ্গে শোরগোল
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গায়। শনিবার পর্যন্ত সাগরে মত্স্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। আগামীকাল উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমতে পারে এমনটাই পূর্বভাস। উত্তরবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।