বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই ২০১৬ সাল থেকে চলছে টানাপোড়েন! সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল বকেয়া DA মামলা (DA Arrear Case)। পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা আজ ওঠে শীর্ষ আদালতে। শেষ শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আজকের শুনানির দিকে তাকিয়েছিলেন অনেকে। কী হল আজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)? জানাল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবারও DA মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠেনি। ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত ছিল এই মামলা। তবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র ৩৯ নম্বর অবধি শুনেছেন। একটি পাসওভার মামলা হওয়ার পর আসন ছেড়ে উঠে পড়েন বিচারপতিরা।
বিগত প্রায় ৮ বছর ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) মামলা চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁদের কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে হবে। গত ১৪ মাসে ১১% মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে তাতেও খুশি নয় তাঁরা। এখন প্রশ্ন হল, বর্তমানে কত হাতে DA পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা?
আরও পড়ুনঃ ‘ভেবেছিলাম এবার ভোটে দাঁড়াব না, কিন্তু…’, ভোট প্রচারে বেরিয়ে একি বললেন দেব!
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন ৫০% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা। অপরদিকে আগামী মে মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% DA বাড়তে চলেছে। ৪% বৃদ্ধির পর রাজ্য তাঁদের মহার্ঘ ভাতা দাঁড়াবে ১৪ শতাংশে। অর্থাৎ বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ৪০%। ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পর সেই ফারাক এসে দাঁড়াবে ৩৬ শতাংশে।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে তিন দফায় মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত ১৪ মাসে ১১% DA বাড়িয়েছে মমতা সরকার। তবে তা সত্ত্বেও খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো রাজ্যেও সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক।
এদিকে গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির খবর ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছিলেন, এই রাজ্যে DA প্রদান ঐচ্ছিক বিষয়, বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারের তরফ থেকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার হয়। সরকারি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের দিকে নজর রেখেই DA বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।