বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জল্পনা সত্যি করে ফের বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Central Government Employees) ডিএ (Dearness Allowance)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই বর্ধিত মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে। ফলত এবারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৫৫ শতাংশ। যার জেরে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) মধ্যে অসন্তোষ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডিএ বাড়ায় বাড়ছে ক্ষোভ-Dearness Allowance
একদিকে দীর্ঘ হচ্ছে আন্দোলন, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বিষয়ক মামলা সমানে পিছিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কিছুটা আগুনে ঘি ঢালার মতোই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৮% হারে ডিএ পাচ্ছেন বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার সঙ্গে পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াল ৩৭ শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারী মাসে রাজ্য বাজেটে মহার্ঘভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে ভাতা কার্যকর হয়েছে। এর আগে ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছিলেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৮. তবে এই ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধিতে একেবারেই খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
বারেবারে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘভাতার পার্থক্যের কথা উঠে এসেছে সরকারি কর্মীদের মুখে। বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা আরও ২ শতাংশ বাড়ল। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার ফারাকও বাড়ল।
আদালতে ঝুলে DA মামলা
এর আগে মোট ১৫ বার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি পিছিয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। মাঝের সময়ে ডিএ মামলা বহুবার শুনানির জন্য উঠলেও শুনানি হয়নি। বারে বারে পিছিয়ে গিয়েছে।
২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই সময় ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘উনিই তো সেই নোবেল ব্যক্তি’, আজকের মধ্যেই গ্রেফতারির নির্দেশ বিচারপতি বসুর
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২২ এপ্রিল।