বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্রমশই বিশ বাঁও জলেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা, কারণ একের পর এক যেভাবে মহার্ঘ ভাতা মামলা নিয়ে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে তাতে আদৌ মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যাবে? তা নিয়ে কিন্তু চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। কারণ আবারও সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতার শুনানি পিছিয়ে গেল সোমবার। 26 ই তারিখে স্যাটের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছিল তাই স্যাটের রায়ের পরই পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানানো হয়।
নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও নভেম্বরের 5 তারিখে মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে দিয়ে মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু সোমবার সেই শুনানির দিন ধার্য করা হলেও তা পিছিয়ে দিয়ে করা হয়েছে 8 তার বাড়ি তারিখ। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের তরফে মহার্ঘ ভাতার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে জানুয়ারি মাসেই।
যেহেতু মহার্ঘ ভাতা মামলার রায় কার্যকর হয়নি তাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তরফে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। স্যাটের রায়ের পর মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা উচ্চ আদালত। চলতি বছরের আগস্ট মাসে রাজ্য সরকারকে দু মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
পাশাপাশি সে সময় স্যারকে কর্মীদের কোন হারে ডিএ পাওয়া উচিত? তা নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছিল। যেহেতু চার বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এক সভায় বেতন কমিশন গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পাশাপাশি চলতি বছরে জুন মাসে অতিরিক্ত 18 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা 125 মাংস হবে এমনটা দাবি জানিয়ে অবশেষে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।