বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির (Dakshineswar Kali Temple) আসলে সরকারি সম্পত্তি, নাকি ব্যক্তিগত ট্রাস্টের সম্পত্তি, এই প্রশ্নে আবার নতুন করে মামলা শুনানি শুরু করল কলকাতা হাইকোর্ট। অনেকদিন ধরে এই মামলা চললেও প্রায় দুই বছর কোনও শুনানি হয়নি। এবার ফের সেই মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দিল।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির (Dakshineswar Kali Temple) নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নোটিশ
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর থেকে মূল মামলার শুনানি শুরু হবে। তার আগে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আদালত জানতে চাইছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির (Dakshineswar Kali Temple) ট্রাস্টকে তারা কোনও আর্থিক সাহায্য দিয়েছে কি না। পরবর্তী শুনানিতে তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
৫০ বছর ধরে একই সম্পাদক? অভিযোগ সেবাইতদের
মন্দিরের সেবাইতদের একটি অংশের অভিযোগ ট্রাস্টির নামে ভুয়ো নির্বাচন দেখিয়ে একই ব্যক্তি নাকি ৫০ বছর ধরে সম্পাদক পদে বসে আছেন। তাঁদের দাবি, ট্রাস্টির কোনও বৈধ মিটিংই হয় না, এবং নির্বাচনের কথাও তাঁরা জানেন না। ফলে মন্দিরের (Dakshineswar Kali Temple) টাকার হিসেব কীভাবে চলছে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছু জানতে পারেন না। বর্তমান সম্পাদক কুশল চৌধুরীর বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে।
রানি রাসমণির অর্পণ নামা থেকেই শুরু বিতর্ক
১৮৭২ সালে রানি রাসমণি তাঁর আটজন নাতির হাতে মন্দিরের (Dakshineswar Kali Temple) দায়িত্ব অর্পণ করে একটি ‘অর্পণ নামা’ তৈরি করেছিলেন। সেখানে বলা ছিল, নাতিদের মৃত্যুর পর তাঁদের ছেলেরা সেবাইত হবেন। পরে রানিমার বড় নাতি বলরাম দাস আদালতে মামলা করেন অর্পণ নামা কীভাবে চালু থাকবে, তা স্পষ্টভাবে ঠিক করার জন্য। ১৯২৯ সালে আদালত বলে, সেবাইত ঠিক করতে ভোট করতে হবে।
১৯৭২ সালেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আশুতোষ দাস নামে এক সেবাইত অভিযোগ করেন, মন্দিরের (Dakshineswar Kali Temple) টাকার গরমিল হচ্ছে। তখন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় তিন বছর অন্তর ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাচন হতে হবে।
২০২১ সালে ট্রাস্টি বোর্ড আবার নির্বাচন করতে চেয়ে আদালতে আসে। আদালত প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে বিশেষ আধিকারিক বানান। তাঁকে বলা হয় কারা ভোট দেবেন সেই তালিকা তৈরি করতে। কিন্তু সেই তালিকা আজও জমা পড়েনি বলে অভিযোগ। ফলে মামলাটি এতদিন আটকে ছিল।

আরও পড়ুনঃ এনুমারেশনের শেষ দিনে বদলে গেল নিয়ম! কমিশনের চাপ কি সামলাতে পারবেন BLO-BLA-রা?
হাইকোর্ট এবার এই সব মামলাকে একসঙ্গে নিয়ে নতুন করে শুনানি শুরু করছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকেই আদালতে ঠিক হবে দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির (Dakshineswar Kali Temple) আসলে পাবলিক প্রপার্টি, নাকি ব্যক্তিগত ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণেই থাকা উচিত।












