বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দাড়িভিট কাণ্ডে (Darivit murder case) এবার আরও কঠোর অবস্থানে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত অবমাননার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-র বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। সোমবারের মধ্যে এই তারা সশরীরে আদালতে হাজিরা না দিলে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। শুক্রবার এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)।
এই মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-কে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে কোনোবারই মানা হয়নি নির্দেশ। শুধু তাই নয়, হাজিরা না দিতে পারার কারণ জানিয়ে কোনও আবেদনও জমা পড়েনি আদালতে। বারংবার তাদের এই আচরণে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উর্দুর বদলে বাংলা ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) দাড়িভিট। বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভে নামে ছাত্ররা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল ক্যাম্পাস। সেখানেই রাজ্য পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ২ ছাত্রের। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি।
পুলিশের দিকে আঙ্গুল উঠলেও প্রথম থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা। এরপরই ন্যায্য বিচার চেয়ে আদালতে মামালা হলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও তাতে ভরসা পায়নি মৃত ছাত্রের পরিবার। এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা।
আরও পড়ুন: দেবাংশু না অভিজিৎ, কে জিতবে তমলুকে? সি ভোটার সমীক্ষার ফল মাথা ঘুরিয়ে দেবে
২০২৩ সালে এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর নির্দেশও দেয় আদালত। তবে ১১ মাসেরo বেশি সময় কেটে গেলেও আদালতের কোনোও নির্দেশই মানা হয়নি। আদালত অবমাননার সেই ঘটনাতেই রুল জারি করেছিলেন জাস্টিস মান্থা। পরবর্তীতে এই নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে একক বেঞ্চের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি ডিভিশন বেঞ্চ। ফলত ঘুরে বিচারপতি মান্থার এজলাসেই ফের উঠেছে মামলা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতেই বিরাট কড়া নির্দেশ আদালতের।