বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলছে বর্ষাকাল। এমন অবস্থায় ঘুরতে যেতে কার না ইচ্ছে করে বলুন। কিন্তু ছুটি পাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু মন পড়ে আছে পাহাড়ে। হাতে কিছুদিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরবঙ্গের ‘পেহেলগাম’ থেকে। কি বুঝতে পারছেন না তো, কোথায় যাওয়ার কথা বলছি। আসলে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) কোলে অবস্থিত মাঝিধুরা গ্ৰামকে অনেকে পেহেলগাম (Mini Pahelgam) বলে থাকেন। এই পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘেদের আনাগোনা, পাহাড়, পাইনবন সবকিছুই আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।
দার্জিলিংয়ের পাইনবনে ঘেরা এই ‘ভাইরাল স্পট’ মাঝিধুরা (Darjeeling)
দার্জিলিং এর কাছেই এই মেঘে ঢাকা পাহাড়ি জায়গার নাম মাঝিধুরা। এখানে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘ। জানালা খুললেই সেই মেঘ ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতর। চারপাশে রয়েছে পাইন বন। সেই পাইন বনের ফাঁক দিয়েও নেমে আসছে মেঘ। এই প্রাকৃতিক পরিবেশ ওই অঞ্চলের পেহেলগাম বললে ভুল হবেনা।এছাড়াও, এখানে সারাদিন ধরেই চলে মেঘেদের আনাগোনা।যদিও এই জায়গাটি কোন অঞ্চলে অবস্থিত সেই বিষয়ে সঠিক খোঁজ দিতে পারছেন না নেটিজেনেরা। অনেকের মতে এটি নাকি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট দিয়ে তৈরি। বরং এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। দার্জিলিং শহরের খুব কাছেই রয়েছে এই জায়গাটি।
আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যের’ জন্য উপকারী ইলিশ; পুষ্টি পেতে কীভাবে খাবেন? চিকিৎসকদের মতামত জেনে নিন
কোথায় কোথায় ঘুরবেন?
মাঝিধুরার মূল আকর্ষণপাইনের জঙ্গলই। এখানে একটি বৌদ্ধ মঠ রয়েছে। এছাড়াও মানি চোলিং মনাস্ট্রিটাও ঘুরে দেখতে পারেন। পাশাপাশি মাঝিধুরা থেকে লেপচাজগত, সুখিয়াপোখরি, দার্জিলিং, সীমানা পয়েন্ট ইত্যাদি ঘুরে নিতে পারেন।
কীভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন?
শিয়ালদা অথবা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি নামতে হবে। সেখান থেকে শিলিগুড়ির (Siliguri) গাড়ি করে আসুন। শিলিগুড়ি থেকে মাঝিধুরার দূরত্ব প্রায় ৬৭ কিলোমিটার। প্রসঙ্গত মাঝিধুরা লেপচাজগত ও সুখিয়াপোখরির ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। সুখিয়াপোখরির ঠিক এক কিলোমিটার আগে একটি পেট্রোল পাম্প পাবেন। তার ঠিক উল্টো দিকে একটি রাস্তা নীচের দিকে নেমে গিয়েছে। সেখান থেকে একটু নীচের দিকে নেমে গেলেই পেয়ে যাবেন মাঝিধুরা। এই গ্রামটি খুবই ছোট। পাশাপাশি জনসংখ্যা কম। তবে এইখানে হোমস্টেড সংখ্যা কম নয়। এখানে প্রায় ৭-১০টি হোমস্টে আছে। আপনি চাইলে এখানে দুদিনের জন্য রাত অনায়াসে কাটাতে পারবেন।