বাংলা হান্ট ডেস্ক: হাতেগুনে আর অল্প কটা দিন। তারপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। তবে এখনি পুজোর কেনাকাটি শুরু না হলেও ঘুরতে যাওয়ার প্লান করে ফেলেছে অনেকে। তাছাড়া ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই প্রথমে মাথায় আসে উত্তরবঙ্গের কথা। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং (Darjeeling) এর একটা নিজস্বতা আছে (Darjeeling)। সেখানে আশেপাশে পাহাড়ি গ্রামগুলি দেখতে যেন ঠিক ক্যানভাসে একা এক ছবির মতন। এছাড়াও এখানে রয়েছে সুউচ্চ পাইন, পাহাড় ঘেরা সেই গ্রাম। আজ আপনাদেরকে এমন একটি জায়গার যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য।
পুজোর ছুটিতে শহরের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ঘুরে আসো দার্জিলিংয়ের এই গ্রাম থেকে (Darjeeling)
বাঙালির কাছে দিপুদা অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা। কমবেশি সকলেই দার্জিলিং, পুরি, দীঘা ঘুরতে গেছে। আর দার্জিলিঙে বারংবার গেলে মন কখনোই ভরে না। আর দার্জিলিঙে (Darjeeling) গেলে চোখের সামনেই ভেসে ওঠে ম্যাল, গ্লেনারিজ, টয় ট্রেন, কেভেন্টার, ধোঁয়া ওঠা মোমো এবং আর কত কী। দার্জিলিং থেকে অনেকেই চলে যান কার্শিয়াং, কালিম্পং। তবে এই জায়গাগুলি পর্যটকের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। একটু নিরিবিলি পাহাড় যাপন করতে চাইলে চলে যেতে পারেন মহালদিরাম (Mahaldiram)।
আরও পড়ুন: বুধবার হলুদ ধাতুর দামে বিরাট বদল, জানুন আজকের গোল্ড রেট
কী ভাবে যাবেন?
শিয়ালদা অথবা হাওড়া ট্রেনে করে জলপাইগুড়ি নামতে হবে। সেখান থেকে মাটি কাটার রাস্তা ধরে গেলেই মহালদিরাম পৌঁছাবেন। এখানে যেতে প্রায় তিন চার ঘন্টা সময় লাগবে। আপনি চাইলে বাগডোগরা থেকেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন, কী কী ঘুরবেন?
এখানে থাকার জন্য চা বাগানের গায়ে রয়েছে হোমস্টে। পাশাপাশি গ্রামের আনাচে-কানাচে তো রয়েছে আরো অনেকগুলি হোমস্টে। সেখানে থাকতে মাথাপিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পড়বে। এখানে গেলে আপনি জঙ্গল, চা-বাগান দেখতে পাবেন। এছাড়াও হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবে এখানে। এখানে একটা দিনে নিঃসর্গের মাঝে পাহাড়ি সাদামাঠা খাবার খাওয়া আলস্য ভরে জিরিয়ে নেওয়াই যায়।। যাঁরা মহালদিরাম গিয়েছেন, তাঁরা জানেন এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেশ স্পষ্ট। পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে ভালোবাসলে, মহালদিরাম আপনার ভালোলাগতে বাধ্য।