বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের (Sheopur) কবরস্থানে (Muslim Cemetery) এক বয়স্ক মানুষের দেহকে কবর দেওয়া থেকে আটকানোর মামলা সামনে এসেছে। এই ঘটনা গত ৬ সেপ্টেম্বরের বলে জানা গিয়েছে। বয়স্ক ব্যাক্তির মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছি বলে ধার্মিক গুরুরা আমার বাবার দেহ কবর দিতে বাধা দেয়। এরপর পুলিশের সাহায্যে আমার বাবার দেহকে কবর দিই আমি।” শেওপুর পুলিশ (Sheopur Police) দেহ কবর দেওয়া থেকে রোখার কথা স্বীকার করলেও মৃতের মেয়ের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
শেওপুর শহরের পাশে সলাপুরায় আবু সৈয়দ কবরস্থানের ঘটনা এটি। সেখানে এক বয়স্ক ব্যাক্তিকে কবর দেওয়ার সময় বিবাদের সৃষ্টি হয়। মৃতের মেয়ে রবিনা জানায় যে, সে হিন্দু সমাজের ছেলেকে বিয়ে করে স্বামীর ধর্ম আপন করে নেয়। আর এই কারণে রবিবার যখন সলাপুরা কবরস্থানে তাঁর বাবা ঈদা খানের দেহ কবর দিতে যায় সে, তখন সেখানে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়।
রবিনা জানায়, সে সবার কাছে অনুরোধ করলেও কেও তাঁর কথা শুনতে রাজি হয় নি। এরপর সে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য চায়, কিন্তু কোতওয়ালি পুলিশও তাঁর কোন সাহায্য করে নি। এরপর সে চম্বলের আইজিকে ফোন করে সাহায্য চায়। তখন স্থানীয় পুলিশ তাঁর সাহায্যের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আর এরপরেই সে বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারে।
উল্লেখ্য, এই কবরস্থানের জমি নিয়ে ওয়াকফ কমিটি আর ঈদা খানের মধ্যে মামলা চলছে। বিগত দিনে কবরস্থানের জমিতে বাড়ি বানানো নিয়ে হওয়া বিবাদে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে ঈদা খানের মেয়ে রবিনা শর্মা FIR দায়ের করেছিল। রবিনা অভিযোগ করেছিল যে, মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম আপন করে নেওয়ার জন্যই সম্প্রদায়ের সবাই তাঁদের বিরুদ্ধে চটে আছে।
এই বিষয়ে পুলিশও স্বীকার করে যে, মৃতের দেহ কবর দেওয়া থেকে রোখা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ জানায়, অন্য ধর্মে বিয়ে করা নিয়ে কোন বিবাদ ছিল না। মৃতের পরিবার কবরের উপর গর্ত খুঁড়ে দেহ দফন করছিল। আর এই কারণে তাঁদের রোখা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপের পর শেষকৃত্য করানো হয়।