আমি ips হয়ে গেছি! দিনমজুরের ছেলে ছড়াল ভুয়ো খবর, ফাঁস হতেই যা হল …

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই প্রকাশ্যে এসেছে UPSC-র রেজাল্ট। ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম বলা হয় UPSC-কে। দেশের বহু হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে এই পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকে অনেকেই। তবে এবার যে কাণ্ড ঘটল তা সত্যিই অবাক করার মত।

ঘটনাটি ঘটেছে উজ্জয়িন জেলার সুন্দরবাদ গ্রামে।‌ UPSC-র রেজাল্ট আসতেই ছড়িয়ে পড়ে যে, সিভিল সার্ভিস পাশ করেছেন সেই গ্রামের বাসিন্দা বিশাল কুমার। হয়ে গেছেন আইপিএস (Indian Police Service) তিনি নিজে মুখেই প্রচার করেন এই কথা। গ্রাম থেকে শুরু করে জেলাস্তরেও পৌঁছে যায় খবর। বিভিন্ন সংস্থা থেকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয় তাকে।

তবে এখন শোনা যাচ্ছে, এই গোটা বিষয়টাই নাকি মিথ্যা। বিশাল নাকি নিজেই নিজের নামে এসব মিথ্যা রটনা রটিয়েছিলেন। বিশাল জানিয়েছিলেন, তিনি UPSC তে ৬৮৮ নম্বর পেয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই গোটা গ্রামজুড়ে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছিল। এমনিও গ্রামের মানুষরা বিশালের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল ছিলেন। কারণ কয়েক মাস আগেই পিতৃহারা হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : প্রতিবাদ করে জেল, এবার BJP-তে যোগ বিখ্যাত ইউটিউবার মনীশের! দাঁড়াবেন লোকসভায়?

খবর চাউর হতেই বিশালের বাড়ির সামনে দফায় দফায় লোক জমা হতে থাকেন। সেই সঙ্গে গ্রামে কৌতূহল বাড়তে থাকে। বিশালের সাফল্যের খবর শুনে অল ইন্ডিয়া কনফেডারেশনও তাকে সংবিধানের একটি কপি দিয়ে সম্মান জানায়। আর তারপরেই বেরিয়ে এল আসল কাহিনী। বিশালের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, তার সিভিল সার্ভিস পাস করার খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরই পলাতক হয়ে যান বিশাল।

আরও পড়ুন : জেনারেল টিকিটে AC-তে ওঠার দিন শেষ! যা পদক্ষেপ নিল রেল, শুনে আঁতকে উঠবেন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে বিশাল। তিন মাস আগেই পিতৃহারা হয়েছেন তিনি। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এমন আবহে তার সিভিল সার্ভিস পাশের খবর শুনে বেজায় খুশি হয়েছিলেন গ্রামবাসীরাও। শোনা যাচ্ছে খবরটি সত্য প্রমাণ করতে, জাল কাগজপত্রও তৈরি করেছিলেন তিনি। তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ‘জনপ্রিয় হওয়ার জন্য মিথ্যা বলেছি।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর