চাকরি হারালেও মিলবে বেতন! SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের মাঝে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলার রায় নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যোগ্য-অযোগ্য চিহ্নিত না করতে পেরে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। ইতিমধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য (Government of West Bengal)। এবার শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, চাকরি হারালেও ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা বেতন পাবেন!

ওই সূত্র দাবি করেছেন, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি (School Service Commission)। সেক্ষেত্রে যতক্ষণ অবধি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করছে, ততক্ষণ অবধি বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই ২৫,৭৫৩ জন চাকরিহারার বেতন (Salary) আপাতত বহাল থাকছে।

এদিকে সম্প্রতি রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে গরমের ছুটি পড়েছে। তার আগে অবধি চাকরিহারা প্রত্যেক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্রম আইন বলছে, কেউ যদি কাজ করে তাহলে তাঁকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হয়। হাই কোর্টের রায়ে চাকরি হারানো ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই আইন অনুসরণ করা হবে বলে খবর। তাই রাজ্যের তরফ থেকে তাঁদের এপ্রিল মাসের মাইনে দেওয়া হবে বলে দাবি একটি সূত্রের।

আরও পড়ুনঃ ‘অপারেশন সফল, রোগী মৃত’! বেআইনি নির্মাণ ইস্যুতে কলকাতা পুরসভাকে তুলোধোনা হাই কোর্টের

উল্লেখ্য, গত সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করায় এক ধাক্কায় প্রায় ২৬,০০০ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার চাকরিপ্রার্থী ‘যোগ্য’ বলে দাবি রাজ্যের।

WB CM Mamata Banerjee challenges Calcutta High Courts verdict on SSC recruitment scam case

হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের রায় দেওয়ার পর থেকেই এই নিয়েই সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এবার জানা গেল, ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের এপ্রিল মাসের মাইনেও দেব রাজ্য। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলের।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর